রাজ্যের মাথায় জুড়তে চলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নয়া পালক। মানব শরীরে রাশিয়ার তৈরি করোনা প্রতিষেধক স্পুটনিক ভি-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে রাজ্যের তিনটি হাসপাতালে।
রাশিয়াই সর্বপ্রথম করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রথম ভ্যাকসিন স্পুটনিক–ভি সামনে এনেছিল। এবার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন ইপিভ্যাক করোনাকে ছাড়পত্র দিয়েছে রাশিয়া, জানালেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশে এই প্রতিষেধকের বিষয়ে প্রখ্যাত ওষুধ সংস্থা ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)।
রাজ্যে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ড. রেড্ডিজের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্লিনিমেড লাইফসায়েন্সেস প্রাইভেট লিমিটেডকে। প্রতিষেধকটির জেনেরিক নাম, গ্যাম-কোভিড ভ্যাক।
ড. রেড্ডিজের পক্ষ থেকে ডিসিজিআইকে মানব শরীরে এই প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হলে, ডিসিজিআই আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার পরেই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার কথা বলেছে। ঠিক হয়েছে, এই পরীক্ষা দুটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি হাসপাতাল সাগর দত্ততে করা হবে।
এবারই প্রথম এই রাজ্যে এই পরীক্ষা হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে রাশিয়াতে হওয়া এই প্রতিষেধকের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০০ জনের শরীরে প্রতিষেধকের পরীক্ষা হলেও, তৃতীয় পর্যায়ে ১৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই পরীক্ষা চালানো হবে। তবে কোনও করোনা রোগীর ওপর এই পরীক্ষা হবে না।
স্বেচ্ছাসেবকের বয়স হতে হবে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। প্রতিষেধক নেওয়ার দু’মাস আগে যদি তিনি প্লাজমা বা রক্তদান করে থাকেন, তবে তাঁকে স্বেচ্ছাসেবক করা যাবে না।