সাহিত্য জগতে বিশেষ অবদান, সাহিত্য সাধনার জন্য এই পুরস্কার। সেই অবদানের জন্য এবার সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি ৩ বছর অন্তর এই পুরস্কার দেওয়া হবে। আর প্রথম বছরই সেই পুরস্কার পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই পুরস্কার পাওয়াকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এমনকী এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করছেন অনেকে। এবার সেই সুরে সুর মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
টুইট করে তিনি লিখেছেন, 'সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকলে হয়তো লিখতেন, বাংলার সাহিত্য সমাজ, তুমি চেতনা হারাইয়াছ?পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির পুরস্কার বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে তাঁর কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্য।'
তিনি লিখেছেন, 'শিল্প কলা সংস্কৃতিতে মুন্সিয়ানা তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হলো। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত! ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত। চাটুকারিতা কোন জায়গায় পৌঁছালে এই ছড়া/কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়।' এরপরই, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কবিতা, এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং, ড্যাং ও হরে করো কমবা, গরু ডাকে হামবা কবিতাটি তিনি তুলে ধরেছেন।
শুভেন্দু লিখেছেন, 'ইতিহাস যখন একটি সভ্যতার বিশ্লেষন ও মূল্যায়ন করে কয়েক শতাব্দী পরে তখন তাতে উল্লেখ থাকে না কোন উকিল, কেরানি, ব্যবসায়ী কত বড় অবদান রেখেছিলেন। আতস কাঁচের তলায় দেখা হয় কবি, সাহিত্যিক, ভাস্কর, চিত্রকর, শিল্পীদের কাজ।'