পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া সীমান্ত দিয়ে নয়, পাতৌদির নবাব সইফ আলি খানের ওপর প্রাণঘাতী হামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশি শরিফউল ইসলাম মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। ধৃতকে জেরা করে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখ নামে এক ব্যক্তির আধার কার্ড ব্যবহার করে ভারতের সিম কেনে সে। সেই সিম ব্যবহার করেই বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত কুখ্যাত এই দুষ্কৃতী।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, প্রায় ৭ মাস আগে মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে শরিফউল। স্বচ্ছ জলের জন্য ডাউকি নদী পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ভারত বাংলাদেশ - সীমান্তে পাহাড় থেকে সমতলে প্রবেশ করে ডাউকি নদী। সেখানে নদীখাত কয়েক কিলোমিটার চওড়া। বর্ষায় নদীতে প্রবল জলোচ্ছাস থাকায় এই এলাকা প্রায় অরক্ষিত থাকে। বছরের অন্য সময়ে বিএসএফ সেখানে নজরদারি চালালেও বিস্তীর্ণ অরক্ষিত এলাকা চোরাচালান ও অনুপ্রবেশের স্বর্গরাজ্য। সেখানে বিনা বাধায় সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারেন ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটকরা। জলোচ্ছ্বাসে প্রতিবছর নদীখাতের চেহারা বদলে যাওয়ায় সেখানে একটি বড় পাথরকে প্রামাণ্য ধরে দুপাশে দায়িত্ব পালন করেন বিএসএফ ও বিজিবির সদস্যরা।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৭ মাস আগে ভারতে অনুপ্রবেশের পর পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে শরিফউল। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় গিয়েছিল সে। তখনই খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখ নামে এক ব্যক্তির আধার কার্ড ব্যবহার করে সে সিম কেনে। এর পর পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানা ব্যবহার করে আধার কার্ড তৈরির চেষ্টা করে সে। কিন্তু সফল হয়নি। অবশেষে কাজের খোঁজে সে মুম্বই চলে যায়। সেখানে বিভিন্ন হোটেলে পরিচারকের কাজ নেয় সে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ধৃত শরিফউল সেদেশের ঝালোকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক খুন, ছিনতাই, ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।