ছলে - বলে - কৌশলে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিতে যেতে চাইছে ইডি। মঙ্গলবার ইডির আবেদন খারিজ করে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। যা গোরুপাচারের তদন্তে ইডির কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর আসানসোল জেলে বন্দি সায়গলকে প্রায় ৪ ঘণ্টা জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। এর পর খাতায় কলমে তাঁকে গ্রেফতার বলে দেখানো হয়। গ্রেফতারির পর সায়গলকে আসানসোল আদালতে পেশ করে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানায় ইডি। আর তার পর থেকেই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের আদালতের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। ওই দিন সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইডি আধিকারিকরা। ওই দিনই রাতে শুনানির আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু আদালত দ্রুত শুনানির আবেদনে কর্ণপাত করেনি। মঙ্গলবার সকালে নির্ধারিত সময় শুরু হয় শুনানি।
‘আমেরিকায় দফতর হলে সেখানে নিয়ে যেতেন?’ সায়গল ইস্যুতে ইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
এদিনের শুনানিতে আদালতের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ইডিকে। বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন করেন, আপনাদের সদর দফতর যদি আমেরিকায় হত তাহলে অভিযুক্তকে জেরা করতে সেখানে নিয়ে যেতেন? তিনি আরও জানতে চান, দিল্লির নিম্ন আদালত সায়গলকে সেখানে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন ইতিমধ্যে খারিজ করেছে। তার পর দিল্লি হাইকোর্টে না গিয়ে আসানসোলে কেন এলেন ইডির আধিকারিকরা? দিল্লির আদালতে পেশ করার কোনও পরোয়ানা কি ইডির কাছে রয়েছে? এই কোনও প্রশ্নেরই গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে পারেননি ইডির আইনজীবী। ফলে আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি।
এর পর পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ছলে - বলে - কৌশলে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে ইডি। ইচ্ছা মতো আদালতে আবেদন করছে তারা। বিচারব্যবস্থার প্রতি ইডির এই দৃষ্টিভঙ্গি আদালত সমর্থন করে না। আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি এবার কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।