স্বাস্থ্যভবনে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা পড়েছে, যাতে বলা হয়েছে - সংক্রমিত স্যালাইন দেওয়াতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। এদিকে সেই স্যালাইনের জেরে অসুস্থ প্রসূতিদের মেদিনীপুর থেকে গতকালই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই সবের মাঝে এবার স্যালাইন কাণ্ডের জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। আজ এই নিয়ে দু'টি জনস্বার্থ মামলার আবেদন জমা পড়ে কলকাতার উচ্চ আদালতে। সেই দুই মামলা গ্রহণ করল হাই কোর্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। দ্বিতীয়টির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। (আরও পড়ুন: 'আমার স্ত্রী তো...', এবার '৯০ ঘণ্টা কাজ' বিতর্কে 'আদর মাখা' উক্তি পুনাওয়ালার)
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে জখম বাংলাদেশি পাচারকারী, প্রতিবাদ জানাল বিজিবি
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই দুই জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে এডুলজির দায়ের করা মামলাটি আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিজের আবেদনে এডুলজি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের সংস্থার খারাপ মানের স্যালাইন ব্যবহার করে কর্নাটকে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বাংলার সেই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল কর্ণাটক সরকার। এই আবহে তিনি জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানান। (আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারে এবার বাধা এপারের গ্রামবাসীরাই, BSF-এর সঙ্গে কথা MLA-র)
আরও পড়ুন: চুপি চুপি থাকত… কারও সাথে তেমন কথা বলত না! সোনারপুর থেকে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ সংস্থার সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিল ওই সংস্থার একাধিক পণ্য ব্যবহারে। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল বলে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। সঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলি যাতে ওই সংস্থাকে কোনও পণ্যের বরাত দিতে না পারে সেজন্য সরকারি পোর্টালে পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তাও সেই সংস্থার স্যালাইনেই এবার প্রসূতি মৃত্যু হল রাজ্যে। (আরও পড়ুন: কেরলে ৬ বছর ধরে ৬০ জন ধর্ষণ করেছিল নাবালিকা ক্রীড়াবিদকে! পুলিশের জালে ২৮)
আরও পড়ুন: নব নালন্দা স্কুলে দুর্ঘটনায় আহত একাধিক পড়ুয়া, একজনের মাথায় পড়ল ৪০টা সেলাই
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল চার প্রসূতিকে। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। এবং তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের গতকাল গ্রিন করিডর করে কলকাতার এসএসকেএম হাসরাতালে নিয়ে আসা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেদিনীপুর থেকে এসএসকেএমে আসা দু’জন প্রসূতি রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার, একজন আইটিইউয়ে চিকিৎসাধীন। সিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন দুই প্রসূতির মধ্যে একজন অতি সঙ্কটজনক। রোগীদের দেহে সংক্রমণের মাত্রা বুঝতে নানান পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন, আরবিসি-সহ রক্তের একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিকে রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করতে আজ পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠকে বসবে। এই বোর্ডে আছেন সিসিইউ, অ্যানাস্থেসিস্ট, নেফ্রোলজি, স্ত্রীরোগ, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকেরা।