সম্প্রতি গঙ্গা আরতি কলকাতায় করার কখা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তাঁর নির্দেশে ঘাট খুঁজতে বেরিয়েছেন কলকাতা পুরসভার অফিসাররা। এবার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে পাশে দাঁড়াল সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে গঙ্গা আরতি হয়। সেই ধাঁচেই বাংলায় গঙ্গা আরতি করার কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীরা এই নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুললেও তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন শাসকদল। এমনকী স্পষ্ট ভাষায় সপা জানিয়ে দিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গঙ্গা আরতি চালু হলে কলকাতা হয়ে উঠবে পর্যটনের সেরা আকর্ষণ।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে এখন পৃথক জায়গা করে নিয়েছে কলকাতা। দুর্গাপুজো কিংবা কার্নিভাল দেখতে প্রত্যেক বছর বিশ্বের নানা প্রান্তের বহু মানুষ এখানে আসেন। আর দুর্গাপুজোকে নিয়ে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর এই আকর্ষণ আরও বেড়ে গিয়েছে। আবার বৈশাখ মাসে বাংলা বছরের বর্ষবরণ কিংবা ডিসেম্বরে ক্রিসমাস ফেস্টিভাল দেখতেও পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কলকাতায় এলে কালীঘাট কিংবা দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যান বহু পর্যটক। পর্যটনের মধ্যে এবার প্রবেশ করতে চলেছে গঙ্গা আরতির। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি দেখা যাবে।
ঠিক কী চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? বারাণসীর মতো কলকাতায় নিয়মিত গঙ্গা আরতি হোক বলে কয়েকদিন আগে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আর তারপরই গঙ্গা আরতির জন্য ঘাটের খোঁজে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। এখন পুরসভার অফিসাররা গঙ্গা আরতির জন্য বড় মাপের ঘাটের খোঁজ করছেন। তবে সেই জায়গা মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ হতে হবে।
ঠিক কী বলছে সমাজবাদী পার্টি? বিজেপির একটা অংশ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের টানেই এমন সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। আর উত্তরপ্রদেশে বারাণসীর গঙ্গা আরতিকেই অনুকরণ করছে বাংলা। তবে এই যুক্তিকে খণ্ডন করে দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সহ–সভাপতি কিরণময় নন্দ। তিনি বলেন, ‘বারাণসী, হরিদ্বার–সহ অনেক জায়গাতেই গঙ্গা আরতি হয়। কলকাতায় শুরু হলে কোনও অসুবিধা নেই। কারণ অন্য জায়গার গঙ্গার যে মাহাত্ম্য রয়েছে, এখানেও তার অন্যত্র নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা খুব ভাল। কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় হয়। ফলে গঙ্গা আরতি, কলকাতার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেবে।’