সনাতন রায়চৌধুরী। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে নানা প্রতারণার অভিযোগে সিঁথি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। নীল বাতি লাগানো তার গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি বরানগরের বাসিন্দা ওই আইনজীবী অত্য়ন্ত সুকৌশলে তার প্রতারণার জাল ছড়িয়ে দিয়েছিল। গড়িয়াহাট থানা এলাকায় জমি, বাড়ি সংক্রান্ত প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রাজ্য় সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের নামে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে সে বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে।
তবে পুলিশের একাংশের দাবি তদন্ত যতই এগোচ্ছে তার প্রতারণার নিত্যনতুন নানা অভিযোগ সামনে আসছে। রাজনীতির ময়দানেও তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন। সূত্রের খবর ২০০৯ সালে তিনি লোকসভা নির্বাচনেও লোক জনশক্তি পার্টির( এলজেপি) টিকিটে দমদম আসন থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট পেয়েছিলেন ৫ হাজার ২৬৫টি। জমানত জব্দ হয় ও তিনি ভোটে হেরে যান। এরপর ধাপে ধাপে বিজেপির সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করেন। বিজেপির একাধিক নেতার সঙ্গেও তার ওঠাবসা শুরু হয়। তাঁদের সঙ্গে তার ছবিও এবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
তবে শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশের মাটিতে নানা সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। জোহানসবার্গের ব্রিকস সম্মেলনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। এমনকী সেই সম্মেলনে খোদ প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি হিসাবে তিনি ওই সম্মেলনে গিয়েছিলেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কাদের অনুমতিতে তিনি বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কেন সব দিক খতিয়ে দেখেনি কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।