আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চাপের মুখে ইস্তফা দিয়েও স্বস্তি পেলেন না প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট ন্যশনাল মেডিকালের অধ্যক্ষ হিসাবে তাঁর যোগদানে অনির্দিষ্টকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে এদিন আদালতের নির্দেশে ছুটিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন সন্দীপবাবু।
আরও পড়ুন - নাইট ডিউটি করতে ভালো লাগত না, জানিয়েছিল ও, বললেন নিহত মহিলা চিকিৎসকের প্রেমিক
পড়তে থাকুন - 'দেশটা কারও বাপের না', চতুর্থ দিন রাস্তা 'দখল', বাংলাদেশে গর্জন বাড়ছে হিন্দুদের
মহিলা চিকিৎসকের হত্যার সিবিআই তদন্তের দাবি দায়ের ৪টি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে একাধিকবার ভর্ৎসনার মুখে পড়েন সন্দীপবাবু। মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। দিনান্তে এই মামলার রায় দিতে দিয়ে আদালত নির্দেশ দেয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ন্যশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করতে পারবেন না সন্দীপবাবু।
এদিন আদালত বলেছে, যে ভাবে একটি হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্দীপবাবুকে আরেকটি হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে তাতে একাদিক প্রশ্ন ওঠে। যে প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সন্দীপবাবুর ইস্তফা গ্রহণ করে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে তারা তাঁকে সমান পদমর্যাদার আরেকটি দায়িত্ব দিয়েছে। এটা তাঁকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার সামিল।
আরও পড়ুন - ৭ চিকিৎসককে জেরা, পরীক্ষায় গেল ধৃতের DNA নমুনা, আজ তলব আরজি করের সহকারী সুপারকে
রায়ে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, একজনকে পদ থেকে সরিয়ে সন্দীপবাবুকে সেখানে বসানোর রাজ্য সরকারের কী তাড়া ছিল তা স্পষ্ট নয়। সন্দীপবাবুকে আদালত অবিলম্বে ছুটিতে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। তিনি তা না করলে আদালত উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। কিন্তু তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন সন্দীপবাবু ইতিমধ্যে ছুটির আবেদন করেছেন। তিনি তা করে থাকলে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে সেই ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত তিনি ন্যশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বসতে পারবেন না।