সন্দেশখালির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়াকে আক্রমণ করে তৃণমূলি গুন্ডা শাহজাহান শেখকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কেষ্টর দশা হবে শাহজাহানের। সঙ্গে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন তিনি। গত ১ জানুয়ারির সেই ভিডিয়োয় এক সভায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে শোনা যাচ্ছে শাহজাহানকে।
অমিত মালব্য লিখেছেন, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখপাত্ররা স্বমূর্তি ধারণ করে শেখ শাহজাহানকে বাঁচাতে পুরোদমে ময়দানে নেমেছিল। এই শাহজাহানই ইডি আধিকারিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছে। গত ১ জানুয়ারি এক জনসভায় শাহজাহানকে বলতে শোনা গিয়েছে, ইডি তার কেশস্পর্শ করতে পারবে না। এমনকী মাথা গরম হয়ে গেলে ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে বিজেপি কর্মীদের দাঁত ভেঙে দেবে ও নেতাদের শূলে চড়াবে সে। এমনকী বিজেপি নেতাদের চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছে সে।
এর পর মালব্য লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষা কসাই অনুব্রত মণ্ডলের সব লক্ষণ রয়েছে শেখ শাহজাহানের মধ্যে। শাহজাহানেরও খুব তাড়াতাড়ি একই পরিণতি হবে।
যদিও ভিডিয়োয় শাহজাহানকে যা বলতে শোনা গিয়েছে তার একাংশ মালব্যর বক্তব্যের সঙ্গে মেলে না। সেখানে শাহজাহান বলেছে, ‘আমাদের পুঁজি হল মানুষের আশীর্বাদ। আর ওর পুঁজি হল সিবিআই আর ইডি। সিবিআই ইডি বাদে শাহজাহানের বাল তো দূরের কথা একটা চুল ছিঁড়ে দেখা।’
শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী - পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।
এই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে সপরিবারে শেখ শাহজাহান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করে বলে দাবি ইডি। কিন্তু বিএসএফের তৎপরতা ও বাংলাদেশে নির্বাচন থাকায় বিডিআর সীমান্ত সিল করে দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয় তাদের।