সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে আটক করল পুলিশ। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায় সেই সূত্রেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ দিন সকালে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ নিরাপদ সর্দারের বাড়িতে যায়। তাঁর বাড়িতে ডাকাডাকি করতে থাকে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের দরজা খুলে দিতে বলা হয়। তার পর প্রাক্তন বাম বিধায়ককে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশদ্রোণী থানায়।
গত শুক্রবার শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিবু হাজরা। সেই অভিযোগ অভিযোগ পত্রের প্রথমেই নাম রয়েছে নিরাপদ সর্দারের। অভিযোগ, তাঁরা নেতৃত্বেই একদল গ্রামবাসী হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
কিন্তু সিপিএমের দাবি হামলার সময় দলের বৈঠকে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক। ৭ ও ৮ তারিখ রাজ্য কমিটির মিটিংয়ে ছিলেন তিনি। কেন শাহজাহান শেখ ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার না করে নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করা হল, সেই অভিযোগ বাঁশদ্রোণী থানায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম কর্মীরা।
পড়ুন। শুভেন্দু–রামেন্দু মারমুখী মেজাজে তপ্ত বিধানসভা, বিজেপির রাজনৈতিক মন্তব্যে তোলপাড়
পড়ুন। কেষ্টর মঙ্গল কামনায় আয়োজিত যজ্ঞে অংশগ্রহণ করায় নানুরে তৃণমূলকে পেটাল তৃণমূলই
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে সন্দেশখালিতে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শেখ শাহজাহান ও তাঁর সহ দুই সহযোগী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার তাঁদের বিঘার পর বিঘা জমি লোনা জল ঢুকিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেই জমি লিজ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু লিজের টাকা গ্রামবাসীদের দেওয়া হত না বলে। তা নিয়ে লাগাতার কয়েদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে সন্দেশখালিতে।
এই বিক্ষোভ চলাকালীন বুধবার সকালে তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শিবু হাজরা ভেড়ির অফিস ও পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিবু হাজারা। তিনি অভিযোগ করেন, নিরাপদ সরর্দারের নেতৃত্বেই গ্রামবাসীরা আগুন ধারান। তার প্রেক্ষিতেই কলকাতা থেকে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কে আটক করছে পুলিশ।
পড়ুন। সন্দেশখালিকাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল SC কমিশন, আরও অস্বস্তি বাড়ল মমতা প্রশাসনের