শিবপ্রসাদ হাজরা সম্পর্কে আগে থেকেই কিছুটা সুর নরম ছিল তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বের। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে সেই শিবু হাজরাকে। সন্দেশখালি ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন শিবু হাজরা। তার বিরুদ্ধে আগেই গণধর্ষণের মামলা ছিল। তবে ফের সেই শিবুর বিরুদ্ধে হল ধর্ষণের মামলা। শিবপ্রসাদ সহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে হল এই ধর্ষণের মামলা। বসিরহাট মহকুমা আদালতে এক মহিলার গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তাঁর সেই জবানবন্দির উপর ভিত্তিকে ফের ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে শিবপ্রসাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে ইতিমধ্য়েই সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ দাবি করেছেন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিত না। পুলিশ বার বার বলত আগে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসুন। এমনকী বুধবার তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা ভক্ত দাস সংবাদমাধ্য়মে দাবি করেছেন, পুলিশের কাছে বলতে গেলে বলত শিবুদার কাছে যাও। আর ওরা বলত কোদালের বাঁট দিয়ে মারত।
সন্দেশখালির কার্যত বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। তারই ছায়াসঙ্গী শিবু হাজরা। বছর ছয়েক আগে তাকে সন্দেশখালি ২ ব্লকের সভাপতি করা হয়েছিল। আর তৃণমূলের নেতৃত্বের পদে আসার পরেই একেবারে চরম ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন শিবু হাজরা। এমনটাই দাবি করেছেন অনেকেই। জমিতে লোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ ওঠে শিবু হাজরার বিরুদ্ধে। তবে এবার সেই শিবু হাজরার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উঠছে দলের একাংশের মধ্য়ে থেকেই।
সূত্রের খবর, ক্ষমতায় আসার পরেই উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরারা প্রথমে এসে পুরানো কর্মীদের দল থেকে বসিয়ে দেওয়ার কাজ করে। এমনকী তৃণমূলের এক প্রাক্তন বুথ সভাপতি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন, শিবু হাজরা দরজা বন্ধ করে বেতের লাঠি দিয়ে মেরেছে। তিনি বলেন আমাদের মা বোনেদের বলছে বহিরাগত। তাদের বহিরাগত বলে এড়িয়ে গেলে চলবে না। শেখ শাহজাহান, উত্তর সর্দার, শিবু হাজরারা বহিরাগত। ওরা এখানকার নয়। ওরা এখানে অত্যাচার করত।
তবে নতুন করে ধর্ষণের মামলার জেরে শিবু হাজরা ফের বিপাকে পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এর আগেই তার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ফের সেই শিবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হল। ফের কোনও ধারা তার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে কি না এটাই দেখার।