আরজিকরে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় জামিন পেলেন আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। সময়ে CBI চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন মিলল দুজনের। শিয়ালদা কোর্টে কেবলমাত্র ধর্ষণ-খুনের প্রমাণ লোপাটের অভিযোগের মামলা ছিল। সেখানেই জামিন পেলেন তাঁরা। তবে অপর মামলায় অর্থাৎ আরজি করে দুর্নীতির মামলায় জামিন পাননি সন্দীপ ঘোষ।
গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। তার জেরে এবার ধর্ষণ-খুনের মামলায় জামিন পেলেন সন্দীপ-অভিজিৎ। সূত্রের খবর।
সিবিআইের তরফে বলা হয়েছিল সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট তারা আজই জমা দিতে পারছেন না। এরপরই তাঁদের জামিন মেলে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ২০০০ টাকা বন্ডের বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল। তবে জামিন পেলেও এখনই জেল থেকে বের হতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ। কারণ আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেও তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় তিনি জামিন পাননি। সেক্ষেত্রে একটা মামলাতে জামিন পেলেও অপর মামলায় তিনি জামিন না পাওয়ায় তাঁকে জেলেই থাকতে হবে।
তবে অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা নেই। সেক্ষেত্রে তিনি এবার জেল থেকে বের হতে পারবেন। তবে তাঁকে যখন থানা থেকে ডাকা হবে তখনই তাঁকে যেতে হবে। সন্দীপ ও অভিজিৎ দুজনের বিরুদ্ধে আরজি করের ওই নারকীয় ঘটনার প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে এবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেল।
সামগ্রিকভাবে সন্দীপ-অভিজিতের জামিনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই নানা মহলে শোরগোল পড়ে যায়। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছিল তারা তদন্ত চালাচ্ছে।তবে এদিনই তারা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে পারছেন না। এরপরই তাঁদের জামিন মেলে।
সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী জানিয়েছেন, সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবে কোনও প্রমাণ নেই। সেকারণে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি একথা জানিয়েছেন।
আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের প্রমাণ লোপাটের মামলায় জামিন পেলেন দুজনেই।
৮অগস্ট মধ্যরাতে হয়েছিল ভয়াবহ ঘটনা। আরজি করের সেমিনার হলে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ।
গ্রেফতারের ৯০ দিনের মাথাতেও কেন সিবিআই চার্জশিট দিতে পারল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।