বেহালায় মা ও ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ধৃত দু'ভাইকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে। দিদি ও ভাগ্নেকে খুন করার পর তাদের ফ্ল্যাট থেকে চুরি করা সোনার গয়না ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল সঞ্জয় ও সন্দীপ। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেয়। সঞ্জয় সেই টাকা দিয়ে মদের বোতলও কিনছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, সেই টাকা দিয়ে তারা মদ্যপানও করেছিল।
বেহালার পর্ণশ্রীর সেনপল্লিতে মা ও ছেলের জোড়াখুনের মাস্টারমাইন্ড সঞ্জয় তার দিদির বাড়ি থেকে চুরি করা সোনার আংটি ও কানের দুলের মতো গয়না সোনার দোকানে বিক্রি করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অবশ্য কোথায় কার কাছে এই চোরাই সোনার গয়না বিক্রি করেছিল, তা জানতে অভিযুক্তদের জেরা করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সঞ্জয়কে যখন জেরা করা হচ্ছিল, তখন দিদির খুনের কারণে সে ভেঙে পড়েছে বলেই জানিয়েছিল তদন্তকারীদের। কিন্তু তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের নিকটতম একটি জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে আসে তদন্তকারীদের। সেখানে খুনের ঘটনার ঠিক আগে, দুই অভিযুক্তকে বাইকে করে যেতে দেখা যায়। সেই ফুটেজ সঞ্জয়কে দেখাতেই ভেঙে পড়ে।
জেরায় অভিযুক্ত সঞ্জয় পুলিশকে আরও জানিয়েছে, দিদিকে ধারালো অস্ত্রে খুন করতে গিয়ে তার জামায় রক্তের দাগ লেগে গিয়েছিল। ভাই সন্দীপ যেহেতু গাড়িচালক, তার কাছে অতিরিক্ত টি-শার্ট থাকায়, সেটি পরে নেয় সঞ্জয়। আর সন্দীপ জামাইবাবু তপনের একটি জামা পরে নেয়। রক্তমাখা ছুরিটি বেসিনে ধুয়ে নেয়। যাওয়ার সময় দিদির মোবাইল ফোনটিও সঙ্গে করে নিয়ে নেয়। তারপর দু'জনেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের দাবি দিদির মোবাইল ফোনটি নোংরা একটি জায়গায় ফেলে দেয় তারা। সে ক্ষেত্রে রক্তমাখা জামা কাপড়, ছুরি, মোবাইল ঠিক কোথায় ফেলেছে অভিযুক্তরা, সেই বিষয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।