গোটা দেশ যখন ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার ছিল, তখন আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষক ও খুনি সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক। এযাত্রায় বাপের দেওয়া প্রাণটা রক্ষা পেলেও খুশি নয় সাসপেন্ডেড এই সিভিক ভলান্টিয়ার। সাজা ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরনোর সময় তার আক্ষেপ, ‘বদনাম হয়ে গেলাম’।
সোমবার আরজি কর কাণ্ডের সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শিয়ালদা আদালতে টানটান উত্তেজনা ছিল। তারই মধ্যে বেলা ১১টা নাগাদ আদালতে পৌঁছয় সঞ্জয়। বেলা সাড়ে ১২টায় ২১০ নম্বর ঘরে শুরু হয় সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া। বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়ের বক্তব্য শুনতে চান। আদালতে সঞ্জয় ফের নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। বিচারক বলেন, নিজেকে নির্দোষ দাবি করা ছাড়া যদি আর কিছু বলার থাকে তো বলুন। আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত। কী করেছেন সেটা আপনিই সব থেকে ভালো জানেন। শুনে সঞ্জয় বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে দিয়ে জোর করে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছে। আমাকে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।
এর পর রায়দান করে ২টি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ মাসের কারাদণ্ড ও ১টি ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক। সঙ্গে নির্যাতিতার বাবা মায়ের জন্য ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন তিনি।
এর পর ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে যায় আদালত কক্ষ। কিছুক্ষণ পর সঞ্জয়কে জেলে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করে পুলিশ। সঞ্জয়কে জেল লক আপ থেকে বার করে তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। তখন সঞ্জয়কে বিড়বিড় করে বলতে শোনা যায়, ‘বদনাম হয়ে গেলাম’।