আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষক ও খুনি সঞ্জয় রায়কে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে গেল কলকাতা পুলিশ। সোমবার সাজা ঘোষণার আগে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে নিয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। আর তারই সঙ্গে সম্ভবত শেষ বার জীবিত অবস্থায় জেলের বাইরে পা রাখলেন সঞ্জয়। ফাঁসির সাজা হলে এর পর জেলের বাইরের বাতাসে তার শ্বাস নেওয়ার সম্ভবনা খুবই কম।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কড়া নিরাপত্তায় সঞ্জয় রায়কে জেল থেকে বার করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। সঞ্জয়ের ছবি যাতে সংবাদমাধ্যম তুলতে না পারে তার সব রকম ব্যবস্থা করেছিল তারা। এর পর আলিপুর রোড, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড হয়ে গাড়ি পৌঁছয় শিয়ালদা আদালতে। সেখানেও ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা উপলক্ষে শিয়ালদা আদালতকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। বেলা সাড়ে ১২টায় সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক।
সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা হলে তার কাছে সম্ভবত এটাই জেলের বাইরের বাতাসে শ্বাস নেওয়ার শেষ সুযোগ। ফাঁসির সাজা উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ হলে সেখানে অভিযুক্তকে হাজির করার বাধ্যবাধকতা নেই। বিশেষ আবেদনের ভিত্তিতে যদিও অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিতে পারেন বিচারপতিরা। কিন্তু তেমনটা খুব একটা ঘটে না। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বিশেষ সেলে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়। আর পশ্চিমবঙ্গে ফাঁসির সাজা কার্যকর হয় আলিপুর সেন্ট্রাল জেলেই। ফলে সাজা কার্যকর করতেও তাকে এক জেল থেকে আরেক জেলে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই সরকারের। ফলে সোমবার রায় ঘোষণার পর সম্ভবত অবশিষ্ট জীবনটুকু জেলের কুঠুরিতেই কাটাতে হবে সঞ্জয়কে।