শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তার মধ্যস্থতায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁকেই এসএমএস করে শুভেন্দু বলেছিলেন, এভাবে একসঙ্গে চলা সম্ভব নয়। এবার সেটা সত্যিই সম্ভব হল না। কারণ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এটা তৃণমূল এবং সৌগত রায়ের কাছে বড় সেটব্যাক বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে সৌগত রায় বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেল। এটা আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত নয়।’ এখন অবশ্য এটা আর বলা ছাড়া এখন কোনও উপায় নেই। কারণ শুভেন্দুকে ধরে রাখতে প্রশান্ত কিশোরকেও নামানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
এই বিষয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘এখন কিছু বলছি না। তবে আমিই শেষ কারিগর। তাই শেষে কথা বলব।’ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্ক ভাল। সুতরাং তাঁর কাছে সব খবরই রয়েছে। আর সৌগত রায় এই ঘটনাকে হালকা করতে চাইছেন বলেই প্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।