এগরা থেকে ভাঙড়—একের পর এক বিস্ফোরণে তপ্ত বাংলা। আর তা নিয়ে জোর তরজা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। এবার শাসক–বিরোধী দুই সাংসদের মধ্যে এই তরজা অন্য মাত্রা পেল। তাঁরা আবার দু’জনেই বিজ্ঞানের ছাত্র। দু’জনেই মেধাবী ছাত্র। আর তাই বিস্ফোরণ নিয়ে দু’জনের দু’রকম যুক্তি। হ্যাঁ, এই দু’জন হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় এবং বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আর এই দু’জনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
এদিকে আগেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, অতিরিক্ত গরমেই বিস্ফোরণ। এখনও তাতে তিনি অনড়। তবে বিরোধীরা সৌগত রায়ের তত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন। আর তাতেই সামনে এসেছে পড়েছেন দুই বিজ্ঞানের ছাত্র। পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক সৌগত রায়ের দাবি, তিনি সবটা জেনেই বলেছেন। অতিরিক্ত তাপেই বাজিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এগরার বিস্ফোরণের সঙ্গে দাবানলের তুলনা করেন সৌগত রায়। তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাই সালফেড বাইরে রেখে দিলে গরমে বিস্ফোরণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এই তত্ত্বকে সমর্থন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। বিরোধীরা সৌগতর মন্তব্যের সমালোচনা করেন।
ঠিক কী বলেছেন সৌগত রায়? অন্যদিকে বিরোধী দল বিজেপি সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু করেন। তখন এই তত্ত্ব নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়। এই বিষয়ে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় আজ, বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘যা বলেছি, জেনেই বলেছি। এই নিয়ে সমালোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। সুকান্ত মজুমদার তো বটানির অধ্যাপক। ও কেমিস্ট্রির কিছু জানে না। গাছ–গাছালি নিয়ে পড়াশোনা।’
আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বলেছেন? সৌগত রায়ের তত্ত্ব মানতে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। তিনি পাল্টা আক্রমণ করে দাবি করেন, উদ্ভিদবিদ্যার সঙ্গে বায়ো কেমিস্ট্রি নিয়েও পড়াশোনা করতে হয়। তাই রয়াসন সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ‘উনি হয়ত ভুলে গিয়েছেন বা জানেন না যে বটানিতেও বায়ো কেমিস্ট্রি বলে একটা বিষয় আছে। নেলসন অ্যান্ড কক্সের লেনিনগার প্রিন্সিপলস অব বায়ো কেমিস্ট্রি বইটা ওঁর পড়া উচিত। তাহলে উনিও কিছু জানতে পারবেন। অত্যাধিক তাপের জেরে বিস্ফোরণ হতেই পারে। তবে দাহ্য পদার্থ ওইভাবে রাখা হবে কেন? ৫ কেজির জায়গায় ২৫০ কেজি বাজি রাখা হচ্ছে।’