গোঘাটে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে কলকাতায় মিছিল করল বিজেপি। রবিবার বিকেলে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঘাযতীন পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। মিছিল থেকে রাজ্যে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দেয় বিজেপি। মিছিল শেষে বাঘাযতীনে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ হয়। যার ফলে কিছুক্ষণের জন্য যানজট তৈরি হয় এলাকায়।
রবিবার সকালে হুগলির গোঘাট রেল স্টেশনের কাছে বিজেপি কর্মী গণেশ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, গণেশবাবুকে আগেও খুনের হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। তারাই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোঘাট। ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে আরামবাগ – মেদিনীপুর রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয় একটি তৃণমূল পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকেলে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি।
এই ঘটনায় রবিবার বিকেলে যাদবপুরে সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে মিছিল করে বিজেপি। মিছিল শেষে সায়ন্তনবাবু তৃণমূলের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস নেই। ওটা খুচরো দোকান। ওই খুচরো দোকান যেদিন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ চাইবে, একদিনে বন্ধ করে দেবে। একবার শুধু ওখান থেকে ইশারা আসুক। তৃণমূল কংগ্রেসের একটা পার্টি অফিস পশ্চিমবঙ্গে থাকবে না। সব আমরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব।‘
সায়ন্তনের দাবি, শ্যামাপ্রসাদ বলেছিলেন, ‘প্রতিবাদ, প্রতিরোধে না হলে প্রতিশোধ নিতে হবে। আমরা যখন প্রতিশোধ নেব তখন হবে চরম প্রতিশোধ।‘
সায়ন্তনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওদের কোনও মুখ নেই। মুখ খুললেই কুকথার ফুলঝুরি। রাজ্যে বিজেপির কোনও নেতা নেই। তাই যে কোনও বিষয়ে অনুমতি চাইতে দিল্লির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।’