মুর্শিদাবাদ থেকে আল কায়দা জঙ্গিযোগ সন্দেহে ৬ জনের গ্রেফতারি নিয়ে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। এদিন এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করা উচিত বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, নবান্নকে তল্লাশির কথা জানালে জঙ্গিরা পালিয়ে যেত।
এদিন সায়ন্তন বলেন, ‘বিএসএফকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে এসে দিল্লি থেকে টিম এসে রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে চলে গেল, ওখানকার পুলিশ কী করছিল? হয় পুলিশ জানত, রাজনৈতিক চাপে করতে পারেনি। নইলে পুলিশ অপদার্থ, অকর্মণ্য। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।‘
কেন জঙ্গিদের খবর স্থানীয় পুলিশ পেল না তার বিস্তারিত তদন্ত দাবি করেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমি ভারত সরকারের কাছে আবেদন করব, NIA যে তদন্ত করবে তাতে রাজনৈতিক দিকটাও খতিয়ে দেখা হোক। কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি এদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন, এদেরকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদাতেও এমন হবে। আমার কাছে খবর আছে, NIA আজও বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। কলকাতাতেও তল্লাশি হচ্ছে।‘
সায়ন্তনের দাবি, ‘আমার কাছে খবর এসেছে, রাজ্য পুলিশের ডিজিপি না কি তাদের না জানিতে কেন গ্রেফতার করা হল তা জানতে চেয়ে NIA-কে চিঠি দিয়েছেন। এর উত্তরটা আমি দিচ্ছি। নবান্নকে খবর দিলে জঙ্গিরা পালিয়ে যেত।‘
শনিবার মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ৬ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে NIA. এদের কাছ থেকে নাশকতার নানা সূত্র মিলেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।