উত্তর প্রদেশ সরকারের বিজ্ঞাপনে কলকাতার মা উড়ালপুলের ছবি বিতর্ক নিয়ে প্রশ্নের মুখে আগড়ুম-বাগড়ুম বলে প্রসঙ্গ এড়ালেন বিজেপি মুখপাত্র সায়ন্তন বসু। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘এটা তো কোনও প্রমাণ নেই ওটা কলকাতার মা ফ্লাইওভার কি না?’
রবিবার সকালে একটি ইংরাজি দৈনিকের প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয় উত্তর প্রদেশ সরকারের বিশাল বিজ্ঞাপন। তাতে যোগী আদিত্যনাথের ছবির নীচে উত্তর প্রদেশের উন্নয়নের ছবি হিসাবে দেখানো হয় কলকাতার মা উড়ালপুলকে। এমনকী সেই উড়ালপুলে হলুদ রঙের অ্যাম্বাসাডর ট্যাক্সি চলতেও দেখা যাচ্ছে ছবিতে। যা গোটা দেশে একমাত্র কলকাতাই চলে।
সকালে বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বন্যা বইতে থাকে। কটাক্ষ করে টুইট করেন একাধিক তৃণমূল নেতা। বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রীতিমতো বিব্রত দেখায় বিজেপি মুখপাত্র সায়ন্তন বসুকে।
এদিন সায়ন্তনবাবু বলেন, ‘এর তো কোনও প্রমাণ নেই ওটা কলকাতারই মা ফ্লাইওভার কি না। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে একটাই ফ্লাইওভার হল, আর কতগুলো ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ল। উত্তর প্রদেশে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। উত্তর প্রদেশে প্রচুর রাস্তা হয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে ফ্লাইওভার ভেঙে পড়েছে। বাস্তবের দিকে নজর দিন। কে কার কোন ছবি দিচ্ছে সেটাতে বেশি লাফালাফি না করাই ভাল। ছবি চুরির ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক এগিয়ে। আমাদের দল এসব কাণ্ডকারখানা করে না।’
বলে রাখি, বাম জমানায় ২০১০ সালে বাইপাস থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত পরমা উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ২০১২ সালের মধ্যে কাজ শেষ করা। এর মধ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। লক্ষ্যমাত্রার থেকে প্রায় ৩ বছর পর ২০১৫ সালে শেষ হয় মূল উড়ালপুলের কাজ। পরমা উড়ালপুলের নাম বদলে ‘মা’ নাম দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে এদিন সায়ন্তনবাবু যে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কথা উল্লেখ করেছেন সেটির উদ্যোগ নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। যদিও ক্ষমতায় এসে ২০১২ সালে সেটির উদ্বোধন করেন অখিলেশ যাদব।