দীর্ঘ জলঘোলার পর অবশেষে বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করলেন দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন। আজ শুক্রবার বিধানসভায় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণ করানোয় উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: শপথ নিয়ে চূড়ান্ত নাটক, বিধানসভার সিঁড়িতে ধরনায় বসলেন সায়ন্তিকা–রায়াতরা
বৃহস্পতিবারই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের কথা জানিয়েছিলেন স্পিকার। শুক্রবার সেই অধিবেশনের আগে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তাতেই প্রথমে ঠিক হয়েছিল ডেপুটি স্পিকার ওই দুজনকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা বদলে যায়। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে স্পিকারের উপস্থিতিতে এই দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ থাকতে আমি শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারি না। আমি এই অসৌজন্যতা দেখাতে পারবো না। আমার অনুরোধ অধ্যক্ষ আপনি এই দায়িত্ব পালন করুন।’ এরপরে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ পাঠ করান।
এদিন দুপুর ২ টো ২৪ মিনিটে বিধানসভার দুই সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করানো শুরু হয়। প্রথমে শপথ গ্রহণ করেন ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রার্থী রেয়াত হোসেন। তারপরে বরাহনগরের উপ নির্বাচনে জয়ী হওয়া সায়ন্তিকা শপথ গ্রহণ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করানোর পরে জয় বাংলা ধ্বনিতে স্বাগত জানানো হয় দুই বিধায়ককে। তবে এদিন শপথ বাক্য পাঠ করানো নিয়েও আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যপাল যেহেতু ডেপুটি স্পিকারকে এরজন্য নিয়োগ করেছেন সেখানে স্পিকার কি দায়িত্ব পালন করতে পারেন? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও তার উত্তর নিজেই দিয়েছেন বিমান। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু বিধানসভা অধিবেশন চালু আছে তাই রাজ্যপালের চিঠির মান্যতা পাবে না। রুলস অফ বিজনেসের ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা মেনে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবারের বিশেষ অধিবেশনে বিজেপির কোনও বিধায়ক যে উপস্থিত থাকবেন না তা আগেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। সেই মতোই এদিন কোনও বিজেপি বিধায়ককে দেখা যায়নি। তবে তৃণমূলের অধিকাংশ বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জুন মালিয়া ছিলেন বিধায়ক এখন তিনি সাংসদ হয়েছেন। শপথ গ্রহণের পর সায়ন্তিকাকে জুনের জায়গায় বসতে দেওয়া হয়।