প্রতারণার ফাঁদ পাতা ভুবনে। কে কখন ধরা পড়ে কে জানে। বাস্তবিকই প্রতারকরা যে কোথায় লুকিয়ে বসে রয়েছে তা জানতে পারা খুব মুশকিল। এবার গ্য়াস ডিলারের ছদ্মবেশে ফোন আসতে পারে গ্রাহকদের কাছে। এনিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ডিসিপি সাইবার ক্রাইমের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে এই সতর্কবার্তা পোস্ট করা হয়েছে।
সেখানে লেখা হয়েছে, গ্যাস ডিলারের নামে আসা ভুয়ো কলগুলি থেকে সাবধান। এরপরই লেখা হয়েছে, সচেতন থাকুন। স্ক্যামাররা আপনার নম্বরে ফোন করে নিজেদের গ্য়াস এজেন্ট হিসাবে পরিচয় দিয়ে আপনাকে সরকার থেকে পাওয়া ভুয়ো সাবসিডির প্রলোভন দেখিয়ে আপনার সর্বস্ব হাতিয়ে নিতে পারে।
গ্রাহকদের সবরকমভাবে সতর্ক করেছে কলকাতা পুলিশ। ভর্তুকি দেওয়ার নাম করে এই ধরনের ফোন আসতে পারে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। আর সেই ফাঁদে পা দিলেই অ্য়াকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।
আসলে গ্যাস ডিলারের নাম করে এই ফোন আসতে পারে। কিন্তু বাস্তবে ফোনের ওপারে যিনি রয়েছেন তিনি গ্যাস ডিলার নন। তিনি হলেন প্রতারক। ফোন করে ভর্তুকি দেওয়ার নাম করে আপনার ফোনে আসতে পারে লিঙ্ক। আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য দিলেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে প্রতারকরা। সেক্ষেত্রে সাবধান না হলেই বিরাট বিপদ।
আসলে গ্যাসে ছাড় দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের ফোনের প্রতি সকলেরই আগ্রহ থাকে। কিন্তু বাস্তবে এই ছাড়ের কোনও ব্যাপার নেই। গ্য়াস ডিলারের ছদ্মবেশে এই ফোন করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সন্দেহজনক কিছু মনে হলে সেই ফোনে তথ্য় না দেওয়াটাই ভালো। কারণ তার আড়ালে থাকতে পারে প্রতারণার ফাঁদ।
সেই সঙ্গেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিভিন্ন সোস্যাল সাইট থেকে হ্যাকাররা প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করে ফেলে। কারোর ফোন নম্বর, জন্মতারিখ সব ওই সোস্যাল সাইট থেকে পেয়ে যায় প্রতারকরা। এরপর শুরু হয় অপারেশন। এরপর এই তথ্য়গুলি পাওয়ার পরে ওই হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের সোস্য়াল মিডিয়া, ইমেল অ্যাকাউন্টের উপর হামলা করে। একবার সেই সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্য়মে সংশ্লিষ্ট অ্য়াকাউন্টে প্রবেশ করতে পারলেই ব্যবহারকারী আর তার অ্যাকাউন্ট ফেরত পান না। সেকারণে পুলিশের পক্ষ থেকে এনিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সহজে যাতে হ্যাকাররা অ্যাকাউন্টে আঘাত হানতে না পারে সেটা দেখা দরকার।