বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > চাকরি দেওয়ার নামে DRM অফিসে বসে চলছিল লোক ঠকানোর কারবার, RPF-এর হাতে ধরা পড়ল ২

চাকরি দেওয়ার নামে DRM অফিসে বসে চলছিল লোক ঠকানোর কারবার, RPF-এর হাতে ধরা পড়ল ২

শিয়ালদা DRM অফিস

আগে থেকেই সেখানে সাদা পোশাকে তৈরি ছিলেন RPF আধিকারিকরা। টাকা নেওয়ার সময় হাতে নাতে ২ প্রতারককে ধরেন তাঁরা। ধৃত রহমান আনন্দপুরের ও শম্ভূ গোবিন্দ খটিক রোডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের ২ সদস্যকে শিয়ালদা DRM অফিস থেকে হাতে নাতে ধরল RPF. বৃহস্পতিবারের ঘটনা। কর্ণ বিশ্বাস নামে বর্ধমানের বাসিন্দা এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায় আরপিএফ। ধৃতদের নারকেলডাঙা থানার হাতে তুলে দিয়েছেন আরপিএফ আধিকারিকরা।

কর্ণ বিশ্বাস নামে ওই প্রতারিত যুবক জানিয়েছেন, বর্ধমানের বাসিন্দা পূজা নামে এক মহিলা নিজেকে রেলের আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। জানান, রহমান নজির ও শম্ভূ মল্লিক নামে কলকাতার ২ বাসিন্দার সঙ্গে কথা বললে কাজ হয়ে যাবে। সেই মতো চাকরির জন্য শম্ভূর সঙ্গে দেখা করেন কর্ণ। তিনি জানান, চাকরির বিনিময়ে দিতে হবে ৩ লক্ষ টাকা। শিয়ালদা DRM অফিসে গিয়ে সই করে তাঁকে চাকরিতে যোগদান করতে হবে। সেই মতো DRM অফিসে যান কর্ণ। সেখানে তাঁকে একটি খাতায় সই করানো হয়। সই করায় রহমান। তার পর তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন শম্ভূ। চুক্তি মতো প্রথম কিস্তির ২ লক্ষ টাকা দিয়েও দেন তিনি।

এর পর খোঁজ করে কর্ণবাবু জানতে পারেন গোটা ব্যাপারটাই ভুয়ো। সঙ্গে সঙ্গে RPF-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার RPF আধিকারিকদের জানিয়ে ফের DRM অফিসে যান তিনি। ফের সেখানে তাঁকে একটি খাতায় সই করায় প্রতারকরা। এর পর বাকি ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। ওদিকে আগে থেকেই সেখানে সাদা পোশাকে তৈরি ছিলেন RPF আধিকারিকরা। টাকা নেওয়ার সময় হাতে নাতে ২ প্রতারককে ধরেন তাঁরা। ধৃত রহমান আনন্দপুরের ও শম্ভূ গোবিন্দ খটিক রোডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নারকেলডাঙা থানার হাতে তুলে দিয়েছে RPF.

 

বন্ধ করুন