আজ, বুধবার সাতসকালে আগুন লেগে গেল শিয়ালদায় দাঁড়িয়ে থাকা নৈহাটি লোকালে। আগুন লাগে ট্রেনের ওভারহেড তার থেকে। যার জেরে তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যাত্রীদের মনে। এই ঘটনা দেখে দৌড়াতে দেখা যায় একাধিক যাত্রীকে। মঙ্গলবার কোচবিহারে ট্রেনে গোলমাল দেখা গিয়েছিল। আর আজ, বুধবার আবার দুর্ঘটনার মুখে পড়ল রেল। শিয়ালদা স্টেশন মোটেই সকালে শুনশান থাকে না। প্রথম লোকালে করেই কাজে রওনা দেন বহু যাত্রী। ওই ট্রেনেই লাগে আগুন। তবে তখন ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল।
এদিকে আজ ভোর ৪টা ১০ মিনিট নাগাদ ওই আগুন লক্ষ করেন রেলকর্মীরা। ট্রেনের কামরায় তখন যাত্রী ছিলেন না। কারণ ট্রেনে করে এসে যাত্রীরা যে যার গন্তব্যে চলে যান। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ভোর ৪টে ১০ মিনিটে শিয়ালদা স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায় আপ নৈহাটি লোকাল। কিন্তু হঠাৎ সেখানে দেখা যায় আগুন। প্রথম কামরার উপরে প্যান্টোগ্রাফ, ওভারহেড তার স্পর্শ করতেই আগুনের ফুলকি দেখতে পাওয়া যায়। আর তা দেখে হইচই পড়ে যায় গোটা স্টেশনে। বেশ কিছু যাত্রী আতঙ্কে দৌড়াতে থাকেন। আর উপস্থিত রেলকর্মীরা দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে নামেন। বিপদ এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এবার নবান্নে চিঠি পাঠাল রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম উইং, তদন্তের স্বার্থে বিশেষ প্রস্তাব
অন্যদিকে তবে রেলকর্মীদের জল দেওয়ায় বিশেষ কাজ হয়নি। তখন দমকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। আজ সপ্তাহের মাঝখান। ফলে অফিস–কাছারি সব খোলা। এই আগুন যদি আর একটু আগে বা পরে লাগত তাহলেই বড় বিপদ ঘটতে পারত। ভাগ্য ভাল যে, কামরায় তখন কোনও যাত্রী ছিলেন না। তাই বড় কোনও বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তারপর ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কারশেডে। বিকল্প ট্রেন আনার পর ৪টে ১৯ মিনিটে রওনা দেয় সকালের প্রথম নৈহাটি লোকাল। তবে সেই লোকাল ট্রেনে সাহস করে উঠে ছিলেন নিত্যযাত্রীরা। ভোর হতে না হতেই এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।
এছাড়া আপ নৈহাটি লোকালের শহরের দিকে থাকা প্রথম কামরার মাথার উপর থাকা বৈদ্যুতিক প্যান্টোগ্রাফ যখনই ওভারহেড তার স্পর্শ করল তখনই আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা গেল। পরে নতুন ট্রেন দেওয়ায় প্রথম নৈহাটি লোকাল গন্তব্যে রওনা দেয় ভালভাবেই। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই কোচবিহারে বামনহাট স্টেশনে ট্রেনের সঙ্গে জোড়ার সময় সজোরে ধাক্কা মারে ইঞ্জিন। ছিটকে পড়ে আহত হন শিলিগুড়িগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ট্রেনের কামরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বুধবার আবার আগুন লাগার মতো ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।