প্রথমবার ট্রায়াল রান হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ২০ মিনিটে ট্রায়াল রান শুরু হয়। শিয়ালদা থেকে একটি মেট্রো রেক (এমআর ৬০৭) এসপ্ল্যানেডের উদ্দেশে রওনা দেয়। সকাল ১১ টা ৩১ মিনিটে পৌঁছায় এসপ্ল্যানেডে। অর্থাৎ ২.৬৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে ১১ মিনিট লেগেছে। তবে আজ সবে প্রথম ট্রায়াল রান হল। ফলে একেবারে ধীরগতিতে মেট্রো চালানো হয়েছে। যখন পরিষেবা চালু হবে, তখন চোখের নিমেষে শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেডে পৌঁছানো যাবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম ট্রায়াল রানেই মিলেছে সাফল্য।
টেনশন মাখানো উত্তেজনা, তারপরই হাততালি
আর সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে হাজির ছিলেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) এবং মেট্রো রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
ট্রায়াল রানের সময় মোটরম্যানের কেবিনেও ছিলেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার-সহ কয়েকজন আধিকারিক। ট্রায়াল রান শুরুর আগে মুখে যেন টেনশন মাখানো উত্তেজনা ছিল। আর মেট্রোর চাকা গড়াতেই তাঁর মুখে একরাশ হাসি ধরা পড়ে। হাততালি দিতে থাকেন মোটরম্যানের কেবিনে থাকা অন্য আধিকারিকরাও।
শুধু মেট্রো আধিকারিক বা কেএমআরসিএলের কর্তা বা ইঞ্জিনিয়ার বা নির্মাণকর্মীরা নন, সেই একইরকম অনুভূতি ছিল সাধারণ মানুষেরও। কারণ শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়া এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পুরো ১৬.৬ কিমি করিডর যুক্ত হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন তাঁরা।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ‘মিসিং লিঙ্ক’ হল শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশ
আপাতত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দুটি বিচ্ছিন্ন অংশে মেট্রোর বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু আছে। একদিকে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ৪.৮ কিমি অংশ এবং অপরদিকে শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত নয় কিমির বেশি অংশে মেট্রো ছুটছে। ‘মিসিং লিঙ্ক’ হিসেবে শুধুমাত্র শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড অংশ পড়ে আছে। ওই অংশ যুক্ত হয়ে গেলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পুরো অংশে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
ট্রায়াল রান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মেট্রো কর্তৃপক্ষ
সেই স্বপ্নপূরণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে আজ শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড অংশে মেট্রোর প্রথম ট্রায়াল রান হল। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম ট্রায়াল রানেই সাফল্য আসায় সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার। ট্রায়াল রান হয়ে যাওয়ার পরে মেট্রো রেল এবং কেএমআরসিএলের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। তবে কবে থেকে পরিষেবা চালু হবে, তা জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পরিষেবা চালুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।