শিয়ালদায় বুধবার দুর্ঘটনার জেরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছিলে যাত্রীরা। রানাঘাট লোকালের সঙ্গে পাশাপাশি ধাক্কা লেগেছিল কারশেডমুখী ট্রেনের। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা? পরে কারশেডমুখী ট্রেনের চালককে সাসপেন্ড করা হয়। তাকে জেরাও করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যেটা জানা যাচ্ছে চালক ফাউলিং মার্ক পেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি।
৪ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গড়া হয় এনিয়ে। তাঁরা প্রাথমিকভাবে জেনেছেন, কারশেডমুখী ট্রেন কার্যত সীমা রেখাকে পেরিয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জেরেই তিনি এই কাজ করে ফেলেছিলেন নাকি এর পেছনে তাঁর অদক্ষতা ও ভুল ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কমিটি। তবে প্রাথমিকভাবে তাঁদের ধারণা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জেরেই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন।
তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে, সব মিলিয়ে বুধবার বড় বিপর্যয় হতে পারত। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। তবে রাত পর্যন্ত তাঁদের নানা ভোগান্তি হয়। দুপুরে দুর্ঘটনার পরে থমকে যায় ট্রেন চলাচল। মোটামুটি ঘণ্টা দুয়েক ট্রেন চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়।
সব থেকে সমস্যায় পড়েন বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তিরা। মাঝপথেই ট্রেন দাঁড়িয়ে যাওয়ায় তাঁরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছিলেন। কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছবেন তা তাঁরা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না। এরপর তাঁরা কোনওরকমে রেললাইন ধরে হাঁটা শুরু করেন। অনেকেই রেললাইনের ধারে পরিশ্রান্ত হয়ে বসে পড়েছিলেন।
জরুরী প্রয়োজনে অনেকেই বেরিয়েছিলেন। মাঝপথেই ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত অথৈ জলে পড়ে যান যাত্রীরা।
বুধবার সন্ধ্যা বেলাতেও নতুন করে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন যাত্রীরা। ডাউন ট্রেন সঠিক সময়ে না আসায় একাধিক আপের ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়ে যায়। সব মিলিয়ে দুর্ভোগ চরমে। তবে আগামীদিনে যাতে কোনওভাবেই এই পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল। এবার ওই রেলকর্মী সহ এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই দেখার।