জয়দীপ ঠাকুর
কেরলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছাত্রীর সঙ্গে ছিলেন এক বিমানে। এমন ৬ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। গত বৃহস্পতিবার যে বিমানে কেরলের করোনাভাইরাস আক্রান্ত ফিরেছিলেন, একই বিমানে ছিলেন ওই ৬ জন। তাদের মধ্যে ২ জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর।
গত বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। এর পরই তাঁকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। ওদিকে ওই বিমানে আর কারা ছিলেন তাদের খোঁজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। তাদের মধ্যে অন্তত ৪ জন কলকাতায় নেমেছিলেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, ‘ত্রিশূরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৬ জন সহযাত্রী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ২ জনের সঙ্গে ফোনে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। বাকিদের ফোন শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ ছিল।’
চিহ্নিত ২ জনই চিনে ডাক্তারির পড়ুয়া। তাদের একজন পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যজন ওড়িশার বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে আরও যাঁরা বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে নেমেছিলেন সবার পরীক্ষা হয়েছিল থার্মাল স্ক্যানারে। এর পর তাদের একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। তাতে নাম ও ফোন নম্বর লিখে বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর অনুমতি মেলে।
দু’জনেই জানিয়েছেন, তারা সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। ফলে আইসোলেশনে থাকার দরকার রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। ওড়িশার বাসিন্দা ছাত্র জানিয়েছেন, তিনি এখনো কলকাতাতেই একটি হোটেলে রয়েছেন। শনিবার রাতে তাঁর ওড়িশার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা। হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে ২ জনেরই নাম ঠিকানা রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বার্থে তা প্রকাশ করা হল না।
ওদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা - গুয়াংঝাউ বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে IndiGo.