নৃশংসতার একেবারে চরম পর্যায়ে। নিউটাউনে খুন করা হয়েছিল বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমকে। সেই খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। তার নাম জিহাদ হাওলাদার। ২৪ বছর বয়সি ওই যুবক আসলে বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। জেরায় আজিমকে খুনের কথা কার্যত স্বীকার করেছে সে।সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। খুনের আগে তাকে মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ধৃত কসাইয়ের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির খালে ডুবুরি নামিয়ে দেহাংশের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
এদিকে অভিযুক্ত আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই অপারেশনে নামে জিহাদ। আরও সঙ্গীরাও ছিল। তারাও সহায়তা করেছিল বলে অভিযোগ। প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন। এরপর শরীরের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর ব্যাগে ভরে ফেলা হয় সেই হাড় মাংস। কিন্তু সেগুলি কোথায় ফেলা হল?
এবার সেই দেহাংশের খোঁজেই ভাঙরে তল্লাশি চলছে। সেজন্য খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে। কচুরি পানায় ভর্তি গোটা খাল। সেখানেই নামানো হয়েছে ডুবুরি। সেখানে তল্লাশি চলছে। সেই সঙ্গেই আকাশে ড্রোন উড়িয়েও ছবি তোলা হচ্ছে। মূলত ওই সাংসদের দেহাংশ খুঁজে বের করাটা এখন তদন্তকারীদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য় সামনে আসতে শুরু করেছে। সিআইডি তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, আজিম কলকাতায় আসার অনেক আগেই অভিযুক্তরা এখানে চলে এসেছিল। ২২ তারিখ কলকাতায় আসেন আজিম। তবে তার আসার আগেই অভিযুক্তরা চলে এসেছিল কলকাতায়। একেবারে ছক কষে সব কাজ হচ্ছিল। প্রায় দিন দশেক আগে তারা কলকাতায় ডেরা বাঁধে। খুনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য় তারা দফায় দফায় আলোচনায় বসে।
এদিকে সেই খুনের যে ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসছে তা শুনে শিউরে উঠছেন অনেকেই। কীভাবে তাকে খুন করা হয়েছিল?
সূত্রের খবর, প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে প্রথমে অজ্ঞান করা হয়েছিল। এরপর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মাথায় আবার আঘাত করা হয়েছিল। এরপর তার দেহ লোপাট করার জন্য মাংস, হাড় আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর সেগুলি প্লাস্টিকের ব্যাগে পুরে ফেলা হয়। সেই প্যাকেটগুলিকে এরপর ফেলে দেওয়া হয় ভাঙরের কাছে পোলেরহাট এলাকায়। একটি খালে এই দেহাংশ ফেলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
একেবারে নৃশংসতম খুনের ঘটনা। প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন। এরপর দেহকে কেটে পুরে ফেলা হয় প্যাকেটে।