করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে শহরের বহু বাসিন্দাদের অনীহা দেখা গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুরসভা থেকে স্বাস্থ্য দফতর। টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয় মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং শনিবার শহরের প্রত্যেকটি হেলথ সেন্টারে। আর দ্বিতীয় ডোজ পুরসভা দেয় সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে সেন্টারের টিকা–কর্মীরা বসে বসে সময় কাটাচ্ছেন। ফলে টিকাদানের কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
শুক্রবার মহরমের ছুটি। তাই পুরসভার টিকাকরণ বন্ধ। সোমবার থেকে সপ্তাহে ৬ দিনই প্রথম–দ্বিতীয় দুটো ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে পুরকর্তারা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে কলকাতা শহরে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁরা টিকা নেননি। এই অনীহার জেরে দ্বিতীয় ডোজ টিকাকেন্দ্র থেকে পুরসভায় ফেরত আসছে।
এখনও পর্যন্ত শহরে মাত্র ৪৯ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ শহরবাসী টিকা নিলেও এই ৪৯ লক্ষের মধ্যে রয়েছেন জেলার বাসিন্দারাও বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। আবার স্বাস্থ্য দফতর নতুন করে করোনা সংক্রমণের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ফের শীর্ষে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জন কলকাতায় সংক্রমিত হলেও কোনও মৃত্যু নেই। দ্বিতীয় ডোজে আগ্রহ কম থাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
এই বিষয়টি নিয়ে পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘একদিন অন্তর টিকার যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তাতে দ্বিতীয় ডোজের উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম। আগামী সপ্তাহ থেকে ফের সকালে প্রথম ডোজ, বিকালে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হতে পারে।’ শনিবার প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠক রয়েছে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে তা নিয়ে সোমবার থেকে পুরনো সূচিতে ফিরতে পারে টিকাদানের কর্মসূচি।