শুরু হতে চলেছে পোস্তা উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশ ভাঙার দ্বিতীয় দফার কাজ। পূর্ত দফতর, কলকাতা পুরনিগম ও দমকলের যৌথ উদ্যোগে ভাঙা হবে পোস্তা উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশটি। আগামী ২৭ অগস্ট থেকে বিপজ্জনক অংশটি ভাঙার কাজ শুরু হবে। গণেশ টকিজ থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক অংশটি দ্রুত যাতে ভেঙে ফেলা যায়, সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে কারণে হাওড়ার বিবেকানন্দ রোড থেকে শুরু করে উত্তর ও মধ্য কলকাতার ঢোকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বন্ধ থাকবে।
শনিবার এই নিয়ে বৈঠকে বসা হয়। এই বৈঠকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল, ডিজি দমকল-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। এই বৈঠকেই দ্বিতীয় দফার পোস্তা উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বিবেকানন্দ রোড বন্ধ থাকার ফলে কোনদিক দিয়ে গাড়ি ঘোরানো হবে কিংবা বিকল্প পথ কী হবে, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে সেই প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফা কাজের জন্য যে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটাও পুরসভার তরফ থেকে সংস্কার করে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই পোস্তা বাজার থেকে শুরু করে হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন পোস্তা উড়ালপুলের অংশটি ভাঙা হয়ে গিয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু করতে চলেছে পুর কর্তৃপক্ষ। ফিরহাদ হাকিম আরও জানিয়েছেন, ৪৫ দিন ধরে প্রথম দফায় পোস্তা বাজার থেকে হাওড়া ব্রিজের পর্যন্ত অংশ ভাঙার কাজ হয়েছে। ব্রিজ ভাঙার কাজের জন্য ক্ষতি হয়েছে রাস্তার। সে কারণেই যে অংশে প্রথম দফার কাজ হয়েছে, সেখানকার রাস্তা মেরামত করবে কলকাতা পুরসভা। সংস্কারের পরই বন্ধ থাকা ওই রাস্তা খুলে দেওয়া হবে।
২০১৬ সালের মার্চ মাসে আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল পোস্তা উড়ালপুল। ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। পরে আইনি জটিলতা কাটাতে উড়ালপুলের বিষয়ে একটি কমিটি গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে প্রথমে খড়গপুর আইআইটি বিশেষজ্ঞরা এই ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। কিন্তু সেই রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই বিশেষজ্ঞ ভিকে রায়নাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। তিনি রিপোর্ট দিয়ে জানান, সম্পূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে ফেলতে হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিপজ্জনক অংশ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।