মধ্য কলকাতার একাংশে ৬০ দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে কলকাতার ওই অংশে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। প্রতি দু’মাস অন্তর তার পুনর্নবীকরণ করা হয়। এই ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে এবার সরব হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এতে জনগণের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।
বিবৃতিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে এই নির্দেশ জারি করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাথা ঘামাননি। ১৪৪ ধারা জারি নিঃসন্দেহে জনগণের স্বাধনীতাকে খর্ব করে। তাই এই ধরনের নির্দেশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামতো জারি করতে পারে না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করার আগে ঠিক মতো মাথা ঘামাননি। কোনও রকম বিবেচনা বোধ রহিত হয়ে এই ‘রুটিন’ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ৩০ লোকাল ট্রেন বাতিল পূর্ব রেলের! কোনগুলি চলবে না? দেখুন তালিকা
প্রসঙ্গত, এই নির্দেশিকা জারি প্রসঙ্গে পুলিশ জানায় যে, মধ্য কলকাতার ওই অংশে প্রতি দু’মাস অন্তর ১৪৪ ধারার নির্দেশ পূনর্নবীকরণ করা হয়। এর আগে এ বছরের ২৯ জানুয়ারি এবং তার আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর, দু’মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। তার আগেও একই ভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়।
কলকাতার পুলিশ কমিশনারের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, আগামী ২৮ মে থেকে ২৬ জুলাই বৌবাজার, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ড (সদর)-এর আওতায় থাকা ধর্মতলার কেসি দাশ ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকে যাওয়ার রাস্তায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। তবে বেন্টিক স্ট্রিট এই নির্দেশিকার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন। বুথের ভিডিয়ো দেবাংশু পেলেন কী করে? তদন্তে কমিশন
আরও পড়ুন। রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত নবান্ন, তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা দল, আর কী কী ব্যবস্থা?
এই নির্দেশিকার জারির বিরুদ্ধেই এবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি মনে করছেন, এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। ভাল করে ভাবনা চিন্তা করে এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। রাজ্যপাল বোসের মতে, নির্দেশিকাটি লাগু করার আগে সংবিধানের নীতি অনুযায়ী কাউন্সিল অফ মিনিস্টারের কাছে পেশ করা উচিত।
আরও পড়ুন। 'পরকীয়ার সন্দেহে সারা শরীরে পেরেক ফুটিয়ে যুবককে গাছে ঝোলালেন স্ত্রী, শাশুড়ি'