বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আদবাণী, উমা ভারতী, মুরলি মনোহর যোশী-সহ ৩২ জন অভিযুক্তের বেকসুর খালাসের রায়ের বিরোধিতায় তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, এই রায়ে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ধাক্কা খাবে। আশা করি মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড আপিলে যাবে।
এদিন দমদমের সাংসদ বলেন, ‘এই রায়ে আমি খুবই হতাশ। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক ছিল একটা মসজিদ। সেটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। হাজার হাজার লোক জমা হল। আদালত বলল, কোনও পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। ভিড়ের জন্য হয়ে গিয়েছে। এটা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।‘
সৌগত রায়ের কথায়, ‘আমার মনে হয় এই রায়ে ধর্মনিরপেক্ষতা ধাক্কা খাবে। এখন তো আদালতের সব রায়ই কেন্দ্রের শাসকদলের পক্ষে হচ্ছে। রামজন্মভূমির ব্যাপারেও হয়েছে। আমি ভাবছিলাম এমনটাই হবে।‘
উচ্চ আদালতে সুবিচার পাওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করে থাকব যে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড আপিলে যাবে। উচ্চ আদালতে হয়তো বিচার হবে। আটাশ বছর পর রায় বেরলো। আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থা কেমন দ্রুত চলে তার একটা উদাহরণ স্থাপন হল।‘
বলে রাখি, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় আদবাণীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিশেষ CBI আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ নেই বলে দাবি আদালতের। এর আগে গত ৯ নভেম্বর বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে মন্দির তৈরির কাজ।