আদিগঙ্গায় নেমে শিক্ষামিত্রদের বিক্ষোভে প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের নিরাপত্তা। বুধবার সকাল থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায়। জেলের দিক থেকে একটি ওয়াচ টাওয়ারে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির পাশাপাশি আদিগঙ্গার ধারে পুলিশ পিকেট করা হয়েছে ৭টি জায়গায়। দিনভর আদিগঙ্গার বুকে একটি নৌকায় নজরদারি চালাবেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
মঙ্গলবার সরস্বতী পুজোর দিন কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন সংলগ্ন এলাকায় আদিগঙ্গায় নেমে বেনজির বিক্ষোভ দেখান শিক্ষামিত্ররা। এভাবেই তাঁরা বকেয়া বেতন–সহ একাধিক দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষামিত্রদের এই পদক্ষেপে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। রীতিমতো পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জলে নেমে দড়ি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের বেঁধে জল থেকে টেনে তোলে পুলিশ। এমনকী ঘটনাস্থলে হাজির হন কলকাতা নগরপাল সৌমেন মিত্র–সহ একাধিক আধিকারিক।
উল্লেখ্য, সর্ব শিক্ষা অভিযানের আওতায় ২০০৪ সাল থেকে শিক্ষামিত্র নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। পিছিয়ে পড়া, স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর দায়িত্ব শিক্ষামিত্রদের। সে সময় মাসে ২৪০০ টাকা ভাতা পেতেন তাঁরা। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে শিক্ষামিত্রদের পদ পরিবর্তন করে রাজ্য সরকার স্বেচ্ছাসেবক করে দেয়। ২০১৪–র এপ্রিল মাস থেকে ভাতা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষামিত্রদের। আর এর প্রতিবাদে ২০১৯ সাল অর্থাৎ গত ২ বছর ধরে আন্দোলন দেখানো শুরু করেছে শিক্ষামিত্ররা।
এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের ওপর আঙুল তোলা শুরু করেছে বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মাস্টারমশাইদের নালায় ফেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কত সমস্যায় পড়লে একটা মানুষ ওই দুর্গন্ধযুক্ত নালায় নামে, ভাবুন একবার।’