সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসছে এক যুবক। গলায় ঝোলানো মোবাইলের হেড ব্যান্ড। সিসি ক্যামেরার একটা ফুটেজ ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে। কে এই যুবক? দাবি করা হচ্ছে এই যুবকই হল অভিযুক্ত ধৃত সঞ্জয় রায়। তার হাতে একটা হেলমেট ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। তার মানে বাইকে চেপে এসেছিল মূর্তিমান। তবে কি কলকাতা পুলিশ লেখা সেই বাইক?
তবে এই সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে ৯ অগস্ট আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে প্রবেশ করছে সঞ্জয়। চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত। পরনে জিন্স, টি শার্ট, হাতে হেলমেট। সবথেকে বড় কথা হল এটা কি সেই হেলমেট যেটা কলকাতা পুলিশের ইউনিফর্মের একটা অংশ?
দাবি করা হচ্ছে এই সিসি ফুটেজটি ভোর ৪টে নাগাদ ক্যাপচার করা হয়েছিল।
এদিকে সূত্রের খবর, অপর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে ৮ অগস্ট বেলা ১১টা নাগাদ চেস্ট ডিপার্টেমেন্টের কাছে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয়কে। সেই সময় ওই মহিলা চিকিৎসক সহ কয়েকজন সেখানে ছিলেন। সেই সময় ওই সঞ্জয় বার বার জরিপ করছিল ওই চিকিৎসকদের।
কী মর্মান্তিক!
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিউটি করে আরজিকরের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তাঁকেই খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে তাকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখনও দেখা গিয়েছিল তার শরীরী ভাষায় একেবারে ডোন্ট কেয়ার ভাব।
বিভিন্ন মহলের দাবি, ওই ধৃতের মধ্যে অনুশোচনার লেশমাত্র ছিল না। এমনকী অভিযুক্ত একেবারে ভাবলেশহীন। রীতিমতো সে বলে দিচ্ছে, ফাঁসি দিলে দিন।
এদিকে অভিযুক্তের পেশার বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে গিয়েছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তা। তবে সূত্রের খবর, ওই যুবক কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত। আরজিকরে তার অবাধ যাতায়াত। যখন খুশি বেরোত, যখন খুশি ঢুকত।
কিন্তু অত রাতে আরজিকরের সেমিনার হলে ঢুকে পড়ল, কেউ কিছু বলল না? তবে কি আরজিকর চালাচ্ছে এরাই? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
শুক্রবার ভোরে আরজিকরে ঢুকেছিল ওই অভিযুক্ত। সে ভেতরে ৩০-৩৫ মিনিট ছিল। পরে বেরিয়ে আসে। কিন্তু ধস্তাধস্তিতে তার হেডফোনের একাংশ পড়ে গিয়েছিল সেমিনার হলে। আর সেটা দেখেই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। সূত্রের খবর এমনটাই।
এদিকে ধৃতের সম্পর্কে তার প্রতিবেশীদের দাবি, সে সব কিছু করতে পারে। মহিলাদের উপর অত্যাচার করাটা তার কাছে কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু এলাকায় সে নিজেকে কলকাতা পুলিশের কর্মচারী বলে দাবি করত।
এদিকে সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়ার পরেও ঘটনার জন্য একটুও অনুশোচনা নেই তার। একেবারে ডোন্ট কেয়ার মনোভাব। এমনকী তার মোবাইল থেকে প্রচুর পর্নোগ্রাফি উপাদান মিলেছে। সে অত্য়ন্ত বিকৃত মানসিকতার ছিল বলে খবর। সূত্রের খবর, রাত ১১টা নাগাদ সে একবার হাসপাতালে এসেছিল। এরপর সে বেরিয়ে গিয়ে মদ খায়। তারপর সে ভোরবেলা আবার হাসপাতালে প্রবেশ করে। এদিকে রাত তিনটে পর্যন্ত ওই তরুণী চিকিৎসক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন খবর। সম্ভবত তারপরই এই ভয়াবহ কাণ্ড!
আর এই ফুটেজে ভোর চারটে নাগাদ ধরা পড়ে সঞ্জয়। চোখে হায়েনার দৃষ্টি।