ডায়মন্ডহারবার মডেল। বাংলায় বহু চর্চিত এই মডেল। মূলত সেখানকার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই সাংসদ এলাকায় কতটা কী উন্নতি করেছেন সেটা বোঝানোর জন্য এই ডায়মন্ডহারবার মডেল শব্দ বন্ধের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক অভিনব ডায়মন্ডহারবার মডেলের ছবি দেখিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ক্রমাগত বোমা ফাটছে। শুভেন্দু লিখেছেন ব্যাটেলগ্রাউন্ড বজবজ-ডায়মন্ডহারবার মডেল।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'বজবজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা। দেশি বোমা তৈরির জন্য় কুখ্যাত। সেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গুলির লড়াইয়ের জেরে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির জেরে।
সেখ লুৎফর হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বজবজ পুরসভার তাঁর সঙ্গে উত্তর রায়পুর পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর ঝামেলা। কিছুদিন ধরেই দুই নেতার মধ্য়ে ঝামেলা হচ্ছিল, একটি নির্মীয়মান গোডাউনে কে ইমারতী সামগ্রী সরবরাহ করবে তা নিয়েই মূল ঝামেলা। তার জেরেই এলাকা কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেয়। একেবারে প্রকাশ্য়ে গুলি চলে। দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে বোমাবাজি।'
'এটাই আসলে সত্যিকারের তৃণমূল। প্রতি নেতাই এখন চাইছেন দুর্নীতির প্রসাদ যদি পাওয়া যায়। ভোটের সময় তারা বিরোধী দলের উপর গুলি চালায়। আর বছরের অন্য় সময় তারা নিজের দলে হাত থেকে বাঁচতে তারা এই গুলি বন্দুক ব্যবহার করে।
পশ্চিমবঙ্গে ইমারতী দ্রব্য সরবরাহের শিল্পের পাশাপাশি এই দেশি বোমা তৈরির শিল্প বাংলায় অত্যন্ত প্রচলিত। তৃণমূলের এই ব্যবসাতে একচ্ছত্র রয়েছে। তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে যেখানে সোনার ভান্ডারের জন্য একের বেশি নেতার নজর রয়েছে।'
শুভেন্দু অধিকারী যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে একের পর এক বোম ফাটছে। একের পর এক বোম ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায়। সেই ভিডিয়োই পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এর আগেও লোকসভা ভোটের আগে এই ডায়মন্ডহারবার মডেলের কথা উল্লেখ করে খোঁচা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
গত লোকসভা ভোটের আগে ডায়মন্ডহারবার মডেলের কথা উল্লেখ করে তীব্র খোঁচা দিয়েছিলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, দেখুন কুখ্যাত ডায়মন্ড হারবার মডেলের ফের আরও একবার পর্দাফাঁস হল। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকা থেকে হাজার হাজার ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিজেপির কার্যকর্তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি এরপর এক এক করে নাম উল্লেখ করেছেন।
শুভেন্দু লিখেছিলেন, ফলতার মন্ডল প্রেসিডেন্ট সুকান্ত প্রামাণিকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ডহারবার সাংগঠিক জেলার সহ সভাপতি মধু কুমারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।