ভূমি দফতরে বাস্তুঘুঘু ভাঙার করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। গঙ্গাসাগরের প্রশাসনিক সভায় ভূমি দফতরের অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই নড়়েচড়ে বসে দফতর। এবার জমি বা বাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সময় সরাসরি ওটিপি পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ও বিক্রেতার মোবাইলে। অর্থাৎ ক্রেতা ও বিক্রেতার সঠিক মোবাইল নম্বর নথিতে দেওয়া হচ্ছে কি না সেটাও মিলিয়ে দেখা হবে। আসলে অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই জমি, বাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সময় ক্রেতা বা বিক্রেতার মাঝে ঢুকে পড়েন কোনও মিডলম্যান বা আইনজীবী। তাঁর মোবাইল নম্বরই সংযুক্ত থাকে নথিতে। এদিকে মিউটেশনের জন্য যদি শুনানির প্রয়োজন হয় তখন আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না দফতর।
মূলত ক্রেতা, বিক্রেতার হয়রানি কমানো, মিডলম্যানদের দাপাদাপি কমানো ও সরকারি দফতরে দুর্নীতির বাসাগুলো ভাঙার লক্ষ্যেই এবার যতটা সম্ভব স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এবার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের নম্বরই থাকবে সরকারি নথিতে। সেই নম্বরেই পাঠানো হবে ওটিপি। পরবর্তী সময়ে শুনানির প্রয়োজন হলে আর তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ না করে সরাসরি জমির ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে দফতর। তবে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে রাজ্যের দু তিনটি জায়গাতে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রেশনের সময় নিজের নম্বরই দিন। অন্যের নম্বর দেবেন না।
এদিকে ক্রেতা ও বিক্রেতা সঠিক নম্বর দিয়েছেন কি না এটা মিলিয়ে দেখেই তারপর রেজিস্ট্রেশন করা হবে। মিউটেশনের প্রক্রিয়াও দ্রুত মিটিয়ে ফেলার কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিল্পের জমির জন্য ২১দিন ও ব্যক্তিগত জমির জন্য ৪৫ দিনেই মিউটেশন প্রক্রিয়া শেষ করার কথা বলা হয়েছে।