একুশের নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ইতিমধ্যেই অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। তার পর সুর নরম করলেও ক্ষোভের আগুন এখনও নেভেনি। তাই এবার সরাসরি সোনিয়া গান্ধীকে পত্রবোমা পাঠালেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকার। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচনের আগে দলে আমাদের মতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তাহলে এখন হারের পর্যালোচনায় কেন সামিল করা হচ্ছে?’ সরাসরি না বললেও এই অভিযোগ অধীরবাবুর বিরুদ্ধেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে এবার একটাও আসন পায়নি কংগ্রেস। এমনকী মাটিগাড়া–নকশালবাড়িতে পরাজিত হয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা শঙ্কর মালাকার। এখানে তাঁর ক্ষোভও রয়েছে। তাই হারের কারণ নিয়ে সরাসরি দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে চিঠি দিলেন তিনি। চিঠিতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্যে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের জন্য কোনও কমিটির সঙ্গে আমি কথা বলতে চাই না। আপনাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চাই।’ সুতরাং অধীর গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর যে ফাটল রয়েছে তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন শঙ্কর। তবে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে টেলিফোনেও তাঁর এই নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শঙ্কর।
দলের বিপর্যয় নিয়ে ইতিমধ্যেই অন্দরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। আইএসএফ থাকা সত্ত্বেও কেন কংগ্রেস জোটে গেল? বামেদের সঙ্গে কেন জোট করা হল? এই সব প্রশ্নবাণে এখন জর্জরিত বিধান ভবনের ম্যানেজাররা। তখনই শঙ্কর মালাকারের দাবি, সিপিআইএমের সঙ্গে জোট নিয়ে কার মতামত নেওয়া হয়েছিল? কেন কারও মতামত চাওয়া হয়নি? এখন হারের কারণ নিয়ে জানতে চাইছে স্ক্রিনিং কমিটি। তিনি বলেন, ‘বারবার বামেদের সঙ্গে জোটের তত্ত্ব বিশ্বাসই করতে পারেনি মানুষ। তার পরেও অদ্ভূতভাবে জোট করা হল। জেলার নেতাদের মতামত নেওয়াই হয়নি।’