দু'বার সরকারের তরফ থেকে আলোচনার বার্তা এসেছিল। তবে 'স্বচ্ছতার অভাব'-এর কারণে পালটা বার্তা পাঠিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, বৈঠক নিয়ে তাঁদের ৪টি শর্ত আছে, যা মানলে তবেই বৈঠকে বসবেন তাঁরা। এই আবহে আন্দোলনকারীদের পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। এই সবের মাঝে এবার জুনিয়রদের সমর্থনে এগিয়ে এসে পালটা কড়া বার্তা দিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। আজ একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সিনিয়র চিকিৎসকরা বলেছেন, 'যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেমে আসে, তাহলে আমরা বাধ্য হব কর্মবিরতির মতো কোনও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।' (আরও পড়ুন: 'রাত দখলে কমছে লোক', বিস্ফোরক সুকান্ত, ডাক্তারদের শুভেন্দু বললেন, 'এভাবে হবে না')
আরও পড়ুন: গভীর রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অসুস্থ পুলিশকর্মী, চিকিৎসা করলেন প্রতিবাদীরা
আরও পড়ুন: বাস চালকদের সঙ্গে ডাক্তারদের 'তুলনা' দেবাংশুর! বিতর্কিত পোস্ট তৃণমূল নেতার
এই বিষয়ে সিনিয়র চিকিৎসকদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'মুখ্যমন্ত্রী ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবার কথা প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের সামনে বললেও এ কথা স্পষ্ট যে বাস্তবে তাঁর জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার কোনও ইচ্ছে নেই। যে নির্দিষ্ট পাঁচ দফা দাবি, সেগুলি অত্যন্ত ন্যায্য বলে আমরা মনে করি। কিন্তু সেগুলি শুনে একটা সমাধান সূত্র বের করবার কোনও সদিচ্ছা দেখা গেল না সরকারের তরফ থেকে। গত ১০ সেপ্টেম্বর এবং ১১ সেপ্টেম্বর পর পর দুটি মেল যা প্রশাসনের কাছ থেকে এসেছিল তার কোনওটিতেই উল্লেখ ছিল না যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বসবেন। বাস্তবে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে গেলেন, অথচ তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের ঘাড়ে দোষ চাপালেন জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে বসতে চায় না।' (আরও পড়ুন: আরজি কর প্রতিবাদের মাঝে CJI চন্দ্রচূড়ের নামে দেওয়াল লিখন স্বাস্থ্য ভবনের কাছে!)
আরও পড়ুন: 'জলভাত কেস', আরজি কর কাণ্ডে ফরেন্সিক দলে ছিল ২ সিভিক ভলান্টিয়ার!
আরও পড়ুন: 'রাত দখলে কমছে লোক', বিস্ফোরক সুকান্ত, ডাক্তারদের শুভেন্দু বললেন, 'এভাবে হবে না'
এরপর আরও বলা হয়, 'আমরা আশা করেছিলাম, দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি হবেন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিপূর্বে বহু বৈঠক করেছেন, যেখানে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা থেকেছে। কিন্তু আজ যখন জুনিয়র ডাক্তাররা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আবদেন করছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে, সেটা আমাদের জানা নেই। জুনিয়র ডাক্তাররা অবশ্যই কাজে ফিরতে চান, কিন্তু যখন দোষীরা গ্রেফতার হননি, এবং প্রত্যেকটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেভাবে এখনও হুমকি সিন্ডিকেট চক্রের পান্ডারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় শোনা গেল না। উপরুন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের অবিলম্বে কাজে ফেরবার জন্য পারতপক্ষে হুমকি দেওয়া হল। এবং সুপ্রিম কোর্টকে রেফার করা হল। তিলোত্তমাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় প্রতিদিন যে হাড়হিম করা তথ্য দুর্নীতির সাথে যুক্ত যে বিশাল চক্রের কথা উঠে আসছে, সেটাও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে শোনা গেল না।'
এরপর মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে তাঁদের বার্তা, 'অবিলম্বে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। আমরা সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে সর্বদাই আছি। যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেমে আসে, তাহলে আমরা বাধ্য হব কর্মবিরতির মতো কোনও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। আগামী দিনে জুনিয়র ডাক্তারদের এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।'