শর্ত মানলে তবেই হবে বৈঠক। বুধবার সন্ধ্যায় শর্তের তালিকা দিয়ে নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে সেই শর্ত মানা হয়নি। নবান্নের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। এই অবস্থায় জুনিয়রদের পাশে দাঁড়ালেন সিনিয়ররা। তাঁদের বক্তব্য, কাউকে সাসপেন্ড করা হলে ওপিডি ওয়ার্ক তুলে নেওয়া হবে।
বুধবার নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেখানে কড়া মনোভাব দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কাকে কোন পদে রাখা হবে? অথবা সরকার কাকে রাখবে বা ছাড়বে? সেটা জুনিয়ার ডাক্তাররা ঠিক করতে পারেনা। তিনি বলেছিলেন, জুনিয়ররা কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সময় দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা ৩১ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও আন্দোলনে অনড় রয়েছেন। যদিও দুই পক্ষের দাবি আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। কিন্তু, এখনও জট কাটেনি। সাধারণ মানুষও জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই সরব হয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। তারা জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়রদের কাউকে সাসপেন্ড করা হলে বা ব্যবস্থা নেওয়া হলে ওপিডি ওয়ার্ড তুলে নেওয়া হবে। সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দেওয়া। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কোনওরকম পদক্ষেপ করেননি। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্য সরকার খোলা মনে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, শর্ত দিয়ে খোলা মনে আলোচনা হয় না বলে দাবি মন্ত্রীর। আন্দোলনকারীদের পালটা কোনও চিঠি দেওয়া হবে কি না তা এখনও জানানো হয়নি। তবে সিনিয়র ডাক্তারদের এই হুঁশিয়ারির পর রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।