পুজোর মধ্য়েই বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দুটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি জায়গায় দাউ দাউ করে কিছু একটা জ্বলছে। অপর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে কোনও একটি বিক্ষোভস্থলের ছবি যেটা উপর থেকে তোলা হয়েছে। তবে এই ছবি বা ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, শ্যামপুর থানা থেকে ফেরার সময় একদল দুষ্কৃতী যারা সেখানে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিল তারা ফেরার পথে দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলে ভাঙচুর করে। শ্য়ামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পুজো প্যান্ডেলে আগুন ধরানো হয়েছে। আরও একাধিক পুজো প্যান্ডেলে ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকী কয়েকজন বিসর্জনের ঘাটে পাথরও ছুঁড়েছে। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলায় শ্যামপুর থানা এলাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে।
আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজির কাছে অনুরোধ করছি স্পটে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠান অবিলম্বে এই ধরনের দুষ্কর্ম দূর করতে এই ধরনের ভাঙচুর বন্ধ করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
পরিস্থিতির উপর নজরদারির জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্য়সচিবের কাছেও অনুরোধ করেছেন। হাওড়ার পুলিশ, প্রশাসনের কাছেও তিনি এই অনুরোধ করেছেন।
তবে এখানে দুটি বিষয় অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। কারা দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল তাদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাননি শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গেই কেন তারা দুর্গাপুজোর মণ্ডপকে টার্গেট করলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে শুভেন্দুর এই পোস্টের উত্তরে নানা জনে নানা কথা লিখেছেন। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কেন এই ধরনের হিংসা রুখতে কঠোরতম ব্যবস্থা নিচ্ছে না? রাজ্য সরকার ঘুমিয়ে আছে। কোথাও কোনও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অপর একজন লিখেছেন, ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে শ্যামপুকুর এলাকায় ৮০ শতাংশই ছিলেন হিন্দু। তার মানে ২০১১ সালের জনগণনার সেই রিপোর্ট এখন অপ্রাসঙ্গিক। আমি খুব অবাক হব না যে এখন যদি জনসংখ্য়ার অনুপাত হয় ৫০-৫০ শতাংশ।
অপর একটি পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, কেটে কুচি কুচি করে দুর্গাপ্রতিমাকে ভাসিয়ে দেওয়া হল জলে। এই ছবিও দেখল বাংলা। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুর্গাপ্রতিমাকে কার্যত করাত দিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে। এরপর সেই টুকরো গুলিকে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে জলে। এই ছবি কার্যত অনেকেরই আবেগে আঘাত হেনেছে।