গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে ফের নয়া মোড় মিলল। এই খুনের মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারকে নিয়ে যাওয়া হল ডায়মন্ড হারবারে। লালবাজারের গোয়ান্দারা সেখানে নিয়ে গিয়ে ভিকির দেখানো একাধিক খালে তল্লাশি চালানো হল। রীতিমতো ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। দু’দিন আগেই গড়িয়াহাটের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে সুবীর চাকির ১৩টি কার্ড। এখানের ড্রেনে সেগুলি ফেলেছিল ভিকি। আজ ভিকিকে ফের আদালতে পেশ করা হচ্ছে।
এই জোড়া খুন করে ছদ্মবেশে সে মুম্বইতে গা ঢাকা দিয়েছিল। সেখানে ১০ হাজার টাকা বেতনের নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি জুটিয়েছিল। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল পরিবেশ থিতিয়ে গেলে সেখান থেকে বিদেশে পাড়ি দেবে সে। তাহলে সম্পূর্ণ নাগালের বাইরে চলে যাওয়া যাবে। ভিকির সঙ্গী শুভঙ্করও একই বেতনে একই কাজে যোগ দিয়েছিল। মুম্বই গিয়ে মোবাইল কেনে ভিকি। তবে সেটা ভুয়ো কাগজপত্র দিয়ে। সেই মোবাইল, সিম, নিয়োগপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা।
এখানেই শেষ নয়, খুনের পর সুবীর চাকির আঙুল থেকে সোনার একাধিক আংটি খুলে নিয়েছিল ভিকি। আবার সেগুলি এক বন্ধুর কাছে জমা রেখে ৫ হাজার টাকা নিয়েছিল ভিকি হালদার। আর সেই টাকা দিয়েই বাণিজ্যনগরীতে পাড়ি দেয়। দফায় দফায় জেরা করলে সে এই কথা স্বীকার করে। তবে গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে খুন করে ভিকির কি লাভ হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, মুম্বই থেকেই ভিকি হালদার ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। মা মিঠু হালদারকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। একাধিকবার ডেরা পাল্টেও নিজেকে বাঁচাতে পারেনি ভিকি। তবে সে স্বীকার করেছে তাকে খুন করার অস্ত্র মা মিঠু হাতে তুলে দিয়েছিল। গড়িয়াহাটের ওই বাড়ি মায়ের পছন্দ ছিল। সেখানেই বাকি জীবনটা কাটানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কাটাতে হচ্ছে শ্রীঘরে।