ভক্তের সমাগম বাড়ছে গঙ্গাসাগরে। ভিনরাজ্য থেকে দলে দলে ভক্তরা আসছেন। মঙ্গলবার পূণ্যস্নান। তার আগে একেবারে ঢল নেমেছে। এদিকে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আগেই গঙ্গাসাগরে কোন মন্ত্রীকে কোথায় থাকতে হবে তার দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলেন। সেই মতো একে একে মন্ত্রীরা এবার গঙ্গাসাগরমুখী।
রবিবারই গঙ্গাসাগরে চলে গিয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায়। মূলত জনস্বাস্থ্যকারিগরী দফতরের একটা বড় ভূমিকা থাকে এই মেলাতে। সেকারণে সব দিক কোথায় কেমন হয়েছে, কোথায় ঘাটতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার থেকেই মন্ত্রী- বিধায়করা দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন। এত বড় ইভেন্টে কোথাও যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। এই মেলা রাজ্য সরকারের কাছে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। সেই সঙ্গেই এবার বার বার তুলনা টানা হচ্ছে কুম্ভের সঙ্গে গঙ্গাসাগরের।
যাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি যাতে যথাযথভাবে তা পালন করেন সেটা দেখার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ভক্তদের জন্য় একটি ট্রানসিট ক্যাম্প করা হয়েছে বাবুঘাটে। সেখানে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারকে রাখা হয়েছে। তাঁরাই যাবতীয় দেখাশোনা করছেন। কাকদ্বীপে হয়ে যাঁরা যাচ্ছেন তাঁদের যেতে হচ্ছে লট ৮ ঘাটে। সেখানে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদারকে থাকতে হবে। লট ৮ থেকে ঘাট পার হওয়ার পরে যেতে হবে কচুবেড়িয়া। সেখানে থাকছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, প্রাক্তন সাংসদ মণীশ গুপ্ত, বিধায়ক গিয়াসুদ্দিন মোল্লা।
এবার মেলা প্রাঙ্গনে কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সেটার উপর নজর রাখবেন রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, প্রাক্তন সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
বাংলায় বড় ইভেন্ট গঙ্গাসাগর মেলা। এবার আবার কুম্ভর সঙ্গে তুলনা হচ্ছে। দলে দলে পূণ্যার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন গঙ্গাসাগরে। এদিকে সেই মেলাকে ত্রুটিমুক্ত রাখতে একেবারে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্য সরকার। আর সেই মেলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একঝাঁক মন্ত্রীকে। মেলা পরিচালনার জন্য একেবারে সাগরদ্বীপে দিনরাত নজর রাখবেন মন্ত্রীরা। তবে শুধু কলকাতা বা বাংলার পূণ্য়ার্থীরা নয়। দেশ বিদেশ থেকে পূণ্য়ার্থীরা আসেন গঙ্গাসাগরে। এসেও গিয়েছেন কয়েকজন। সেই মেলাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম সমস্যা তৈরি না হয় সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।