কেউ রাত ৩টে থেকে লাইন দিয়েছেন। কেউ আবার লাইন দিয়েছেন ভোর ৪টে-৫টা থেকে। কলকাতা পুরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডে গড়িয়ার পুর স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের সামনে তুমুল ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। একাধিক বাসিন্দার দাবি, ভোররাত থেকে লাইন দেওয়ার পরেও অনেককে ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। এর জেরে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যান বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা বলেন, রাত ৩টে থেকে ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা মেলেনি। অপর এক মহিলা বলেন, লোকাল কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলাম। সিপিএমের ওই কাউন্সিলর কাজ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই সিস্টেমের সঙ্গে তিনি পেরে উঠছেন না। অপর এক বাসিন্দা বলেন, 'আগের দিনও যারা তদারকি করতেন তাঁরা বলছেন আমরা কিছু জানিনা। আসলে চাপে পড়ে এখন এসব কথা বলছে।'
এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও টিকা না পাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। ব্যাপক বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, হাতজোড় করে বলছি রাত থেকে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছেন। কোনও সমস্যা হবে না। তবে এখানকার বাম পুরপ্রতিনিধি চয়ন ভট্টাচার্য কোথায় গেলেন? তবে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুরোপুরি নিয়মবর্হিভূতভাবে টিকার জন্য নাম লেখানো হচ্ছে। যাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁদের কপালে টিকা জুটছে না। অথচ ভেতর থেকে টিকার জন্য লিস্ট তৈরি হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি টিকার জন্য ক্লাবে নাম লেখাতে হবে একথাও জানতেন না তাঁরা।