মোবাইলে অযাচিত অফার দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করলে আসে বিপদ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নিমেষে উধাও হয়ে যায় টাকা। কিন্তু এবার কোনও লিঙ্কে ক্লিক না করেই দমদমে তিন বন্ধুর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল ৫০ লক্ষ টাকা। ঘটনায় হতবাক তিন বন্ধু নাগেরবাজার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত, সুরজিৎ রুদ্র নামে এক ব্যবসায়ীর থেকে। চলতি মাসের পাঁচ তারিখ বিকেল নাগাদ তিনি ম্যাসেজ পান যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দশ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। বিপদ বুঝে বাকি টাকা তিনি অন্য ব্যাঙ্কে সরিয়ে রাখেন। সূরজিৎ নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ জানান। তাঁর এই টাকা চলে যাওয়ার খবর তাঁর দুই বন্ধু শ্যামল রাজবংশী এবং রাজীব ভৌমিকেও জানান। কিন্তু তাঁরা কেউ সে ভাবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি।
১৩ নভেম্বর হঠাৎ শ্যামল রাজবংশীর কাছে ম্যাসেজ আসে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। বিপদ বুঝে তিনি ব্যাঙ্ক ডিটেলস্ দেখতে গিয়ে দেখেন আগের দিনও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে আরও দশ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। একই ঘটনা ঘটে বন্ধু রাজীবের সঙ্গেও। ১২ নভেম্বর তাঁর অ্যাঙ্কাউন্ট থেকেও দু’বার দশ হাজার টাকা করে তুলে নেওয়া হয়েছে। দু’জনেই দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি নিজেদের ব্যাঙ্কে জানিয়েছেন বিষয়টি। রাজীব বলেন, ‘ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয়েছে আধার নম্বর ও ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।’ টাকা তোলার পদ্ধতি দেখে হতবাক তিনবন্ধুই। রাজীবের কথা, ‘ভয়ে কোনও লিঙ্কে ক্লিক করি না, কিন্তু কিছু না করে টাকা চলে গেল।’
সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, খুব প্রয়োজন না হলে আধার কার্ডের বদলে অন্য পরিচয়পত্র ব্যবহার করাই ভাল। তবে এই ধরনের ঘটনা খুবই কম ঘটে থাকে, যাঁরা জমি-বাড়ি বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করেই দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে।