সাধারণত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঢোকা বা বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে শুধু রোগী পরিষেবাই নয়, মেডিক্যালের ডাক্তারি পড়ুয়াদের পঠনপাঠনেও সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। কিন্তু, তা চালু করতে দেরি হওয়ায় রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজকে জরিমানা করল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। সে ক্ষেত্রে কোনও মেডিক্যাল কলেজের ২৪ লক্ষ, আবার কোনও মেডিক্যাল কলেজকে ২০ লক্ষ বা ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই অবস্থায় জরিমানা যাতে মকুব করা যায় সেবিষয়ে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: বেসরকারি ডাক্তারি পড়ুয়াদের গ্রামে প্র্যাকটিশ করতেই হবে?জানুন সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ
মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিৎসকদের যাওয়া আসার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য বায়োমেট্রিক বসানো সময়সীমা ছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, দেখা যায় এই সময়ের মধ্যে একাধিক মেডিক্যাল কলেজ বায়োমেট্রিক চালু করতে ব্যর্থ হয়। তার জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, কী কারণে দেরি হয়েছিল সেই সমস্যার কথা না শুনে একতরফা ভাবে জরিমানা করেছে কমিশন। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কমিশনকে এবিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেই যুক্তি শোনা হয়নি বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে যে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা প্রতিবাদ করলেই তাদের অনুমোদন বাতিলের হুমকি দিয়েছে মেডিক্যাল কমিশনের কর্তারা। তবে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের আধিকারিকদের বক্তব্য, গত বছর থেকে লাগাতার রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে বায়োমেট্রিক চালু করার জন্য একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ফোনে এবং ভিডিয়ো কনফারেন্সেও তাদের তারা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও এই কাজে দেরি হয়েছে । রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এবিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরের মার্চ মাসেই সব মেডিক্যাল কলেজে বায়োমেট্রিক চালু হয়েছে। তাই যাতে জরিমানা মকুব করা হয় সে বিষয়ে তারা আবেদন জানিয়েছেন। এই নিয়ে আলোচনা চলছে।