ফের শেখ শাহজাহানের অবস্থান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিকেলে বিজেপির রাজ্য দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, শাহজাহানকে কী ভাবে গ্রেফতার দেখানো হবে তা নিয়ে এখন ভাইপোর সঙ্গে পুলিশের আলোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন শেখ শাহজাহান, চলছে শেষ মুহূর্তের দর কষাকষি: শুভেন্দু
এদিন বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, বেড়মজুর ২ পঞ্চায়েত থেকে ওকে এখন নিয়ে গিয়েছে ফলতা এলাকায়। ওখানে ওকে পাবেন। ওকে অ্যারেস্ট দেখাবে, না বাইরের রাজ্য থেকে ধরে এনেছে দেখাবে এই পরিকল্পনা হচ্ছে। আজকে রাতে দেখাবে, না কালকে দেখাবে, না প্রধানমন্ত্রী যখন আরামবাগে এসে পৌঁছবেন সেই সময় দেখাবে এই সিদ্ধান্তটা ভাইপো, রাজীব কুমার আর পিসি, তিন জন মিলে করছে।
তিনি বলেন, শাহজাহানের সমর্থনে তৃণমূলের থেকে পোস্টার দেওয়ানো হচ্ছে। শাহজাহানের থেকে তো কিছু লোক সুবিধা পেয়েছেন। তারা পিছন থেকে এটা করাচ্ছে। আমি যেদিন ওখানে গেছিলাম দেখেছিল কেন স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছিলাম। সেটার পালটা হিসাবে হাড়োয়া, মিনাখাঁ, বারাসত এলাকা থেকে কী ভাবে পার্থ ভৌমিক আর সুজিত বসু ভালো জামা কাপড় পরিয়ে লোকজন নিয়ে গিয়েছিল। মানে কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানোর মতো।
আরও পড়ুন: শাহজাহান কোথায় জানে পুলিশ? শুভেন্দুর দাবি অনুরণিত হল প্রধান বিচারপতির কণ্ঠে
বুধবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘সন্দেশখালির বজ্জাত শেখ শাহজাহান মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে মমতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাঁকে বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তার আগে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মমতা পুলিশের সঙ্গে চুক্তি করেছে সে। চুক্তি অনুসারে পুলিশ ও জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাকে পর্যাপ্ত যত্ন আদ্দি করতে হবে। তাকে জেলে থাকাকালীন ৫ তারা বিলাশের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবহার করতে দিতে হবে মোবাইল ফোন। যার মাধ্যমে সে জেল থেকেই তৃণমূলকে নেতৃত্ব দেবে। এমনকী উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁর জন্য একটা শয্য সব সময় খালি রাখতে হবে। যাতে ইচ্ছা করলেই সেখানে এসে সময় কাটাতে পারে সে’। তার পর ফের শাহজাহানকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা।