শাহতোশ বিক্রি করতে এসে কলকাতার বড়বাজারে গ্রেফতার ৩। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৭টি শাহতোশ। কাশ্মীরে তৈরি বিশেষ ধরনের এই শাল চিরু নামে একটি তৃণভোজী প্রাণীর পশম থেকে তৈরি হয়। যা বিদেশের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বড়বাজারে নিষিদ্ধ শাহতোশ বিক্রি হচ্ছে বলে খবর আসে। খবর পেয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় হানা দেন আধিকারিকরা। সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে মোট ২৭টি শাহতোশ উদ্ধার করেছেন তাঁরা। যার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অন্তত ১ কোটি টাকা।
বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তিব্বতের মালভূমির বাসিন্দা চিরু নামে একটি প্রাণীর পশম থেকে তৈরি হয় শাহতোশ। এই শালগুলি খুবই হালকা। একটি আংটির ভিতর দিয়ে একটি শাল গলে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে এক একটি শালের দাম ওঠে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই শাল বুনতে লাগে দক্ষ শিল্পী। কারণ চিরু হরিণের এক একটি পশম মানুষের চুলের থেকেও অনেক গুণ সরু।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে প্রকৃতিতে চিরু হরিণের সংখ্যা ১.৫ লক্ষের কাছাকাছি। প্রাণীটি বিপন্ন না হলেও লাগাতার শিকারের ফলে যে কোনও সময় বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় নাম লেখাতে পারে সে। তাই ভারতে চিরু হত্যা ও তার পশমের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আবদুল সামাদ, আসিফ আহমেদ ও সুদর্শন কুশওয়াহা। তাদের কাছ থেকে আরও ৩০০টি শীতবস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে বন দফতর। তার মধ্যেও শাহতোশ রয়েছে কি না তার খোঁজ চলছে।