বিধানসভায় তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কের মারামারি ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এই ঘটনার জেরে ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার। কিছুদিন আগে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই যে বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তারা এক বছর বিধানসভার ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছেন বিধানসভার স্পিকার। বিধানসভার অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তকে ‘স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপ’ বলে সমালোচনা করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিধানসভার স্পিকার একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূলের মত এবং নির্দেশকে তিনি প্রকাশ করেছেন। তবে স্পিকারের এই স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিজেপি তাদের মতো করে আন্দোলন কবে যাবে।’ প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের পরেই রাজ্যপাল তাদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি দেন। তারপরে স্পিকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে আসে। এপ্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘একজন স্পিকার বিধানসভায় সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী সেটা ঠিক। কিন্তু, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। বিধানসভায় রাজ্যপাল গেলে স্পিকারের চেয়ারে বসেন। বিধায়কদের সমস্যা সমাধান করে থাকেন।’
শমীক ভট্টাচার্যর অভিযোগ, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার জন্যই বিজেপি বিধায়কের সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ তাঁর দাবি, ‘চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন ঘটনার সময় বিধানসভায় নিজের চেয়ারে বসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অথচ এক তৃণমূল বিধায়ক বলছেন শুভেন্দু অধিকারী নাকি তার নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন। এটা স্পষ্ট যে তৃণমূল মিথ্যে বলছে।’