শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় সেই সময় প্রতিবছর টেট নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি গৌতম পাল। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন এবার থেকে স্বচ্ছতা বজায় রেখেই প্রাথমিকে নিয়োগ হবে। তবে সেই আশ্বাসকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। নতুন সভাপতির এই আশ্বাসকে ‘জোক অব দ্য ইয়ার’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
শমীক বলেন, ‘এত জোক অফ দ্য ইয়ার। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন এবং তিনিও সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না। কারণ সেটা দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।’ এর পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন যে আমি আদালতের কারণে চাকরি দিতে পারছি না। যখন সাড়ে ৩ লক্ষ শূন্য পদ এই মুহূর্তে রয়েছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সভাপতির এই মন্তব্য হাস্যরস ছাড়া আর কিছুই নয়।’ তার আরও কটাক্ষ, ‘তৃণমূলের আমলে নিরপেক্ষভাবে কোনও মেধা তালিকা ভিত্তিক নিয়োগ হওয়া সম্ভব নয়।’
কী বলেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি?
গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি বলেছেন, ‘সবকিছু স্বচ্ছ হবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি আজ থেকে বোর্ডের সমস্ত কাজে স্বচ্ছতা থাকবে। আগামী দিনে যদি কোনও কাজ করি তাতে সবকিছুতেই স্বচ্ছতা থাকবে। যারা চাকরি দেবেন, প্যানেল সবকিছুতেই স্বচ্ছতা থাকবে। অস্পষ্ট থাকবে না। কোনও কিছুই আমরা লুকাব না।’ এরপর তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এবার থেকে প্রতি বছর টেট নেওয়া হবে।’ এর আগে প্রথমে শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তার বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তারপরেই গৌতম পালকে নতুন সভাপতি করা হয়েছে। তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সমস্ত সদস্যদের সরিয়ে দিয়ে ১১ সদস্যের নতুন অ্যাডহক কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য।