তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করে শাসকদলের আক্রমণের মুখে পড়ে বিরোধীদের পাশে পেলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে অরণ্যদেব গঙ্গোপাধ্যায় বলে সম্মোধন করেন তৃণমূলের এক মুখপাত্র। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যা পারেন করে নিন’। বিচারপতির পাশে দাঁড়িয়ে পালটা সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে জেল খেটে আসা আসামিদের মুখে কখনও আপনি সংবিধান মানার কথা শুনতে পাবেন না’।
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সংবিধন মেনে চলতে হয়। কোনও দল যদি সংবিধান না মানে তাহলে সেই রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া যায়। এই রাজ্যে যে ব্যাপক লুঠপাট চলছে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। নেতাদের বাড়ি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী তাদের বীর বলছে, এটা কি সংবিধানসম্মত? এই রাজনৈতিক দলের কি সংবিধান মেনে চলার কোনও প্রবণতা রয়েছে’?
তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালায়, সাধারণ মানুষকে তো পুলিশ পাঠিয়ে লাঠিপেটা করে জেলে ভরে মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন যে আন্দোলন আটকে দেবেন। আর হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারব্যবস্থাকে বানচাল করবেন? যে ব্যবস্থা দিল্লিতে বিজেপি নিচ্ছে, বিচারব্যবস্থা আমাদের পকেটে থাকুক। একই অভিমুখ এদেরও। আমরা চুরি করব, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারবে না। আপনার নেতা, মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি অবৈধ টাকা পাওয়া যাবে কিন্তু বিচারব্যবস্থা কিছু বলতে পারবে না, জনগণ কিছু বলতে পারবে না? এ কি মগের মুল্লুক না কি’?
তৃণমূলকে শমীকবাবুর পরামর্শ, ‘হয় সংবিধান মেনে চোরের দল তুলে দিতে হবে। নয়তো সংবিধান মেনে ওদের ভদ্রভাবে থাকতে হবে। দুর্নীতির দায়ে জেল খেটে আসা আসামিদের মুখে কখনও আপনি সংবিধান মানার কথা শুনতে পাবেন না। তৃণমূল দলটা এখন আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ আর চোরেদের গুদামে পরিণত হয়েছে। বিপজ্জনক এই দল’।